পতনের নামতা
নিষেধের আজ্ঞায় ফোটে কলি
হীনস্রোত বিব্রত সূর্যফোটা কালে
আমরা বদলে যাওয়া মঞ্চে
চুষি আঙুল—মৌন পতনে।
বেগের দুর্বলতায় বেকেঁ যায় আবেগ—
আদতে বদলের পরবর্তী রূপই পতন।
যেহেতু বদলই চাকা এবং চাকা গড়ায়
আর চাকার চমকে ফিরে আসে বসন্ত
আর চিরন্তন রসচক্রে কমলা-ই চিরসত্য
তাই সূর্যকে বাঁচিয়ে রাখে সকাল আর সকালকে কাক
অপূর্ণ আলাপে ফোটে পতনের নামতা
নিষেধের আজ্ঞায় বাজে কাকতাল!
কাকেশ্বরী
মগ্ধুতার ছলে বেতাল কাক ছলহাওরে ওড়ে
ঠোঁটের নিচের তিলকরশ্মির গল্প তার অজানা।
উচ্ছ্বাসে অজ্ঞান হলেও,
জ্ঞানের কপাটে কিছুটা ভাঁজ আছে বলেই
কোকিলের কাছে সে 'ফেলারি'।
কাক হয়তো জানেই না
খুব বেশি ভালোবাসলেই অভিশাপ দেওয়া যায়।
চোখপুকুরে বারোমাস বর্ষা; তবে বষ্টিৃ দেখেনি কেউ
ঝাকড়া চুলের সাথে দাঁড়ির সমঝোতা ভেঙে
সাঁইজির দুয়ারে নাচলো না মেঘ!
জ্ঞান-অজ্ঞানের দ্বন্দ্বে কাকেশ্বরী পুড়লো
তবে পুকুরঘাট অক্ষত ছিল, আছে, থাকবে.
অনুসিদ্ধান্ত
অতএব, প্রমাণিত হলো কাক কখনো সাদা হয় না
আর সাদা কাকের ডানায় বিশ্বাস ঘুমায়।
খামখেয়ালের বনভোজনে,
শালবনে মেহেন্দির যে বারবিকিউ হয়েছিল
তার ঘ্রাণশনূ্যতা ভোরের হরিণকে
হরণ করতে পারেনি; তবে কিছুটা ঘায়েল করেছিল।
হায়েনার দষ্টিৃ চিনতে বনগভীরে যায়নি প্রতিধ্বনি
সে নিজে পরাস্ত শিশিরের দৈন্যতায়—
অসময়ের বষ্টিৃ ধুয়ে দিলো নকল রাজার কেশর!
শিশিরের অল্প আঁচে, খুচিঁ য়ে খুচিঁ য়ে
হরিণের জখম থেকে ঝরে সাদা রক্ত
বাষ্প-বাষ্প সংঘর্ষে উড়ে যায় বিশ্বাস…