প্রকৃতিতে চলছে গ্রীষ্মকাল। বাজারে উঁকি দিচ্ছে গ্রীষ্মকালীন ফল। তরমুজ তার মধ্যে অন্যতম। প্রচণ্ড গরমে এক ফালি রসালো তরমুজ প্রাণ শীতল করতে যথেষ্ট।
সাধারণত আমরা তরমুজ খেয়ে বিচি ফেলে দেই। কিন্তু, জানেন কি, তরমুজের বিচি কাঁচা খাওয়া যায়। তরমুজের বিচি ভালোভাবে শুকিয়ে ওপরের কালো অংশ ফেলে দিতে হবে। ভেতরের অংশ খেতে হবে। এতে পুষ্টিগুণ মেলে দ্বিগুণ।
কী কী স্বাস্থ্যকর উপাদান রয়েছে তরমুজের বিচিতে। চলুন, জেনে নেই।
প্রোটিন
তরমুজের বিচিতে থাকে প্রোটিন। এক কাপ তরমুজের বিচিতে পাওয়া যাবে ৩০.৬ গ্রাম প্রোটিন। এই পরিমানটি মানুষের শরীরের ৬০ শতাশং প্রোটিন পূরণে সহায়ক। এছাড়া রয়েছে প্রয়োজনীয় নানা ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড। এর মধ্যে রয়েছে আর্গিনাইন। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এটি। হৃদরোগের চিকিৎসায়ও উপযোগী। এতে রয়েছে গ্লুটামিক অ্যাসিড, লাইসিন, ট্রিপ্টোফ্যানের মতো প্রোটিন।
ক্যালরির মাত্রা
এক কাপ তরমুজের বিচিতে রয়েছে ৬০০ গ্রাম ক্যালরি। অর্থাৎ, শরীরে ক্যালরির মাত্রা পূরণ করতে সহায়ক তরমুজের বিচি। তবে, যাদের ক্যালরিতে নিষেধাজ্ঞা আছে, তাদের এটি পরিমিত ডায়েটে খেতে হবে।
ফ্যাট
এক কাপ শুকনো তরমুজের বিচিতে পাওয়া যায় ৫১ গ্রাম ফ্যাট। এর ১১% হলো স্যাচুরেটেড ফ্যাট। বাকিটা পলিস্যাচুরেটেড, মনোস্যাচুরেটেড ও ওমেগা -৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। মনো ও পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
ভিটামিন
তরমুজের বিচিতে রয়েছে ভিটামিন বি। খাবারকে শক্তিতে পরিণত করে ভিটামিন বি। এটি শরীরের জন্য় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্নায়ুতন্ত্র ও পরিপাকতন্ত্রকে রক্ষণাবেক্ষণ করে নিয়াসিন। এই নিয়াসিন পাওয়া যায় তরমুজের বিচিতে। ত্বকেরও যত্ন নেবে এটি। থিয়ামিন, রাইবোফ্লাবিন, ভিটামিন বি-৬ তো আছেই।
মিনারেল
তরমুজের বিচিতে পাওয়া যায় ম্যাগনেশিয়াম। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এই খনিজ। কার্বোহাইড্রেটের বিপাকেও এটি কাজ করে। এতে রক্তে ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া রয়েছে ফসফরাস, আয়রন, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ ও জিংক। অর্থাৎ, শরীরের জন্য় উপকারী খনিজ পাওয়া যায় তরমুজের বিচিতে।
ঢাকা বিজনেস/এন/