২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার



ক্যাম্পাস
প্রিন্ট

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় যেতে নারাজ জবি শিক্ষকরা

জবি প্রতিনিধি || ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ১১:০২ পিএম
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় যেতে নারাজ জবি শিক্ষকরা


নানা অব্যবস্থাপনা, সেশনজট ও শিক্ষার্থী সংকটের কথা ভেবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা৷ চলতি বছরে গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে না যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন তারা।

গুচ্ছের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিশেষ একাডেমিক সভার আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সভায় গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে না গিয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে আলোচনা করতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকে ভর্তির জন্য ৯টি মেধাতালিকার পরেও কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থীর অভাবে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষাবর্ষ শুরুর ক্ষেত্রে বিলম্ব ঘটেছে। এছাড়া গত বছরের মতো এ বছরও বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা ও সেশন জটের কবলে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।

শিক্ষার্থীদের আর্থিক অপচয়, যাতায়াত সমস্যা, থাকা-খাওয়াসহ সার্বিক ভোগান্তি হ্রাসে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা চালু হলেও সেই উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছে না বরং ভর্তি প্রক্রিয়া আরও দীর্ঘায়িত হচ্ছে।

গুচ্ছ নিয়ে আলাপকালে জবির শিক্ষকরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব মান বজায় রাখার জন্য গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি থেকে বের হওয়ার বিকল্প নেই। গুচ্ছে কোনো লাভ হচ্ছে না বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. লুৎফুর রহমান বলেন, যারা গুচ্ছের বাইরে আছে তারা আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে গিয়েছে। কেউ গুচ্ছের বাইরে থাকবে কেউ ভেতরে এটা তো সমন্বিত হলো না। যে উদ্দেশ্যে নিয়ে গুচ্ছ পদ্ধতি চালু করা সেই উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছে না বরং ভর্তি প্রক্রিয়া আরও দীর্ঘায়িত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়ছে, তাদের জীবন থেকে প্রায় এক বছর নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমটা আমরা কখনোই করতে পারি না।

মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মদ বলেন, আমরা এক বছর অপেক্ষা করেছি এই দীর্ঘায়িত প্রক্রিয়া কমানো যায় কিনা কিন্তু কমানো যাচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়ছে। এ পদ্ধতিতে  অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীরাও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে।

এ বিষয়ে দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ হাফিজুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্বার্থে ভর্তি পরীক্ষা থাকা উচিৎ। সরকার যদি মনে করে গুচ্ছ পদ্ধতি ভালো একটা প্রক্রিয়া, তাহলে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েই এটি চালু করা উচিৎ। কিন্তু ঢাবি, রাবি, জাবি, চবিসহ বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ভর্তি প্রক্রিয়ায় পরিচালিত, যেটা এক ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ। এতে জগন্নাথের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে।

শুভ/এম



আরো পড়ুন