২৮ জুন ২০২৪, শুক্রবার



নদীবন্দি গ্রামবাসীর ভরসা ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো

তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা || ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৬:৩২ পিএম
নদীবন্দি গ্রামবাসীর ভরসা ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো


গাইবান্ধার সাদুল্লাহপুরের রসুলপুর ইউনিয়নের মহিষবান্দী পূর্বপাড়া গ্রাম। এই গ্রামের চার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নদী। যার ফলে নদীবন্দি হয়ে পড়েছে গ্রামের প্রায় দেড়শ পরিবার। স্থানীয়রা বলছেন, তাদের চলাচলের জন্য নেই কোনো রাস্তা। পারাপারের জন্য আছে একটি মাত্র বাঁশের সাঁকো। তাও নড়বড়ে। ঝুঁকিপূর্ণ এই সাঁকো চলাফেরা করতে হয় তাদের।    

সরেজমিনে দেখা গেছে,ঘাঘট নদীর ওপর ভাঙা বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে শিশু-শিক্ষার্থীরা।  ওপারে পৌঁছে নেই কোনো রাস্তা। বাধ্য হয়ে কৃষকের জমির আইল দিয়ে হেঁটে উঠতে হয় মূল সড়কে।   

স্থানীয়রা জানান, কয়েক যুগ ধরে শতাধিক পরিবার বসবাস করে আসছেন এই গ্রামে।  এসব পরিবার দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। তাদের সবাইকে অন্যের জমির আইল দিয়ে প্রায় ৬০০ মিটার হেঁটে প্রধান সড়কে পৌঁছাতে হয়। আগে এসব বাড়ির তিন পাশে নদী থাকলেও উত্তর পাশে ছিল না। এরই মধ্যে বছর দুয়েক আগে অব্যাহত ভাঙনে এখন বসতভিটার চারপাশে বয়ে গেছে নদীটি।  ফলে নদীবন্দি হয়ে পড়েছে এই দ্বীপগ্রামের বাসিন্দারা। 

 

স্থানীয় বাসিন্দা জামিরুল ইসলাম ও ফুল মিয়া বলেন, ‘নিত্যদিন প্রয়োজনীয় কাজে নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে হয়। এতে সময় নষ্টসহ দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে থাকতে হয়। এখানে রাস্তা ও ব্রিজ থাকলে পুরো গ্রামবাসীর উপকার হতো।’

হাফিজার রহমান নামের এক ভ্যানচালক বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা ও ব্রিজ না থাকায় ভ্যানটি অন্যের বাড়িতে রাখতে হয়। রাতের বেলায় সেখান থেকে কৃষকের মাঠ হেঁটে বাড়িতে ঢুকতে হয়।’ 

ছামিউল ইসলাম (১১) নামের এক শিক্ষার্থী বলে, ‘স্কুলে যেতে ভাঙা সাঁকো পার হতে খুব ভয় লাগে। এজন্য স্কুলে যেতেও ইচ্ছে করে না।’

এ বিষয়ে রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্যার স্বামী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘মহিষবান্দী পূর্বপাড়া গ্রামের মানুষদের দুর্ভোগের অন্ত নেই। এখানে রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণ জরুরি। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিদের কাছে লিখিত আবেদন করা হবে।’   

সাদুল্লাপুর  উপজেলা চেয়ারম্যান সাহারিয়া খান বিপ্লব বলেন, ‘এমন সদস্যা দাঁড়িয়েছে, সেটি জানা নেই। খতিয়ে দেখা হবে।’

ঢাকা বিজনেস/এনই/

 


 




আরো পড়ুন