২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শুক্রবার



পিন্ডি টেস্টে চালকের আসনে বাংলাদেশ, হতে পারে ড্র

ঢাকা বিজনেস স্পোর্টস ডেস্ক || ২৪ আগস্ট, ২০২৪, ০৫:৩৮ পিএম
পিন্ডি টেস্টে চালকের আসনে বাংলাদেশ, হতে পারে ড্র


রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে দারুণ সময় কাটছে বাংলাদেশের। চতুর্থ দিনে তারা লিড পায় ১১৭ রানের। অন্যদিকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেট হারিয়ে ২৩ রানে দিন শেষ করেছে স্বাগতিক পাকিস্তান। এখনো তারা সফরকারী বাংলাদেশের চেয়ে ৯৪ রানে পিছিয়ে। বলা চলে এই টেস্টে চতুর্থ দিন শেষে চালকের আসনে বাংলাদেশ। যদিও পঞ্চম দিনে ফলাফল না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। 

শেষ দিনে বাংলাদেশ যদি ৯৪ রানের আগেই ৯ উইকেট নিতে পারে প্রতিপক্ষের তাহলে ইনিংস ব্যবধানে জয়লাভ করবে তারা। অন্যদিকে পাকিস্তানের সামনে চ্যালেঞ্জ বেশি। এই ৯৪ রান টপকে তাদের ভালো একটা লিড নিতে হবে। সেই লিড যদি অল্প রানের হয় তাহলে বাংলাদেশের সামনে থাকবে জয়ের হাতছানি। জয়পরাজয়ের হিসেব কষতে বসলে বাংলাদেশই রয়েছে সুবিধাজনক অবস্থায়। 

তবে চলতি টেস্টের প্রথম চারদিনের যে প্রবণতা- তাতে বলা যায় এই টেস্ট ড্র হতে চলেছে। কারণ ৯০ ওভারের মধ্যে পাকিস্তানের সবকটি উইকেট ফেলা বেশ কঠিন হবে। আবার শুধু উইকেট ফেললেই হবে না, প্রতিপক্ষের ছুঁড়ে দেয়া টার্গেট উতড়ে যেতে হবে। যা করার সবই করতে হবে দিনের ৯০ ওভারের মধ্যে। প্রয়োজনে ঝড়ো ইনিংস খেলেও জেতার মানসিকতা থাকতে হবে টাইগারদের। 

এখানে অবশ্য ভয় জাগানিয়া একটা উদাহরণ রয়েছে। গত টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১২ ওভারে ১১৪ রান করলেই সেমিফাইনালে যাওয়ার টার্গেটে ছিল বাংলাদেশের। সেখানে তারা চরম হতাশ করেছে ভক্তদের। 

তবে ক্রিকেটে অসম্ভব বলে কিছু নেই। আগে ওয়ানডে হতো ৪৫ ওভারে। সে হিসেবে এখনো ওয়ানডে ম্যাচের দুটি ইনিংসের সমান দৈর্ঘ্য অপেক্ষা করছে পঞ্চম দিনে। হতে পারে যে কোনো কিছুই। 

আগের তিন দিন দুই দলই ছিল সমানে সমান। চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের বড় পাওয়া মুশফিকের ১৯১ রানের রাজসিক ইনিংস। যদিও অল্পের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি মিস করেছেন মুশফিকুর রহিম, ১৯১ (৩৪১ বল) করে কট বিহাইন্ড হয়ে গেছেন। এটি তার ১১তম টেস্ট সেঞ্চুরি। এর আগে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি ছিল মুশফিকের। মোহাম্মদ আলীর গুড লেন্থের বল অফ স্ট্যাম্পের কিছুটা বাইরে ছিল। মুশফিক বল না দেখার মতো ব্যাট চালিয়েছিলেন। ওই সময়ে অমনভাবে ব্যাট চালানোর খেসারতও পেয়েছেন। ব্যাটের কানায় বল লেগে জমা পড়ে উইকেট কিপার রিজওয়ানের গ্লাভসে।  

শেষ পর্যন্ত ৫৬৫ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। শেষে দিকে টি টোয়েন্টি স্টাইলে ব্যাট চালিয়ে ১৪ বলে ২২ রান করেন শরিফুল। এছাড়া সাদমান ৯৩, মমিনুল ৫০, লিটন ৫৬ এবং মিরাজ ৭৭ রান করেন। 

চতুর্থ দিন সকালে ব্যাট হাতে মুশফিকের সঙ্গে নেমেছিলেন লিটন দাস। আগের দিন মুশফিক ৫৫ এবং লিটন ৫২ রানে অপরাজিত ছিলেন। মাত্র ৪ রান যোগ করেই আউট হয়ে যায় লিটন। 

পাকিস্তানের পক্ষে নাসিম শাহ নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২ টি করে উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি, খুররম শাহজাদ এবং মোহাম্মদ আলী। সাইম আয়ুব নেন বাকি উইকেট। 

দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান খেলতে পেরেছে ১০ ওভার। ২৩ রান নিয়ে হারায় একটি উইকেট। পেসার শরিফুলের বলে সাইম আইয়ুবের ক্যাচটি নেন লিটন দাস। ৩ বলে মাত্র ১ রান করেছিলেন পাকিস্তানী ওপেনার। 

এর আগে পাকিস্তান ৪৪৮/৬ করে তাদের প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করে। সেঞ্চুরি করেছিলেন সউদ শাকিল (১৪১) এবং রিজওয়ান (১৭১ অপরাজিত)। ওই দুই সেঞ্চুরির জবাবে বাংলাদেশ বলার মতো একটা সেঞ্চুরি পেয়েছে। যদিও সম্মিলিতভাবে ভালোই জবাব দেয় বাংলাদেশ। তার প্রমান ১১৭ রানের লিড। 

  



আরো পড়ুন