তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সিরিয়া সীমান্তের কাছে শক্তিশালী ভূমিকম্পের ঘটনায় সপ্তম দিনের মতো চলছে উদ্ধার অভিযান। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়ালো। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
উদ্ধারকারী সংস্থার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা দ্রুতই বাড়ছে। এ পর্যন্ত দু’দেশে ২৮ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। ভাঙা ঘরবাড়ির নিচে এখনো চাপা পড়ে আছেন অনেকে।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে, দুটি ভূমিকম্পের প্রথমটি স্থানীয় সোমবার (৬ এপ্রিল) ভোর রাত ৪টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিরিয়া সীমান্তবর্তী গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১৭.৯ কিলোমিটার। দ্বিতীয়টি আঘাত হানে দুপুরের দিকে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৬।
ভূম্পিকম্পটি রাজধানী আঙ্কারা এবং তুরস্কের অন্যান্য শহরেও অনুভূত হয়েছে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট অঞ্চলজুড়েই কম্পন অনুভূত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে যে, কয়েক হাজার ভবন ধসে পড়েছে এবং বহু মানুষ ভেতরে আটকা পড়েছেন।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সুলেইমন সইলু বলেন, ১০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে গাজিয়ানতেপ, কাহরামানমারাস, হাতায়, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালাতিয়া, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির ও কিলিস। প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া, লেবানন ও সাইপ্রাসেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
তুরস্ক পৃথিবীর অন্যতম সক্রিয় ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলগুলোর একটিতে অবস্থিত। এর আগে, ১৯৯৯ সালে দেশটির উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন।
ঢাকা বিজনেস/এম