২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার



তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ হাজার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || ০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৯:০২ পিএম
তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ হাজার


তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সিরিয়া সীমান্তের কাছে দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে ১১ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তৃতীয় দিনের মতো চলছে উদ্ধার অভিযান। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

উদ্ধারকারী সংস্থার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা দ্রুতই বাড়ছে। দুই দেশে ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। আরও ১৫ হাজার জনের বেশি আহত হয়েছেন। অসংখ্য মানুষ ভাঙা ঘরবাড়ির নিচে চাপা পড়ে আছেন। 

মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে, দুটি ভূমিকম্পের প্রথমটি স্থানীয় সোমবার (৬ এপ্রিল) ভোর রাত ৪টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিরিয়া সীমান্তবর্তী গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১৭.৯ কিলোমিটার। দ্বিতীয়টি আঘাত হানে দুপুরের দিকে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৬।

ভূম্পিকম্পটি রাজধানী আঙ্কারা এবং তুরস্কের অন্যান্য শহরেও অনুভূত হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট পুরো অঞ্চল জুড়েই কম্পন অনুভূত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে যে, কয়েক হাজার ভবন ধসে পড়েছে এবং বহু মানুষ ভেতরে আটকা পড়েছেন।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সুলেইমন সইলু বলেন, ‘১০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে গাজিয়ানতেপ, কাহরামানমারাস, হাতায়, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালাতিয়া, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির ও কিলিস। প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া, লেবানন ও সাইপ্রাসেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।

লেবাননের রাজধানী বৈরুতের শিক্ষারী মোহামাদ এর ছামা বলেন, ‘আমি কিছু একটা লিখছিলাম।  হঠাৎ করেই পুরো ভবন কাঁপতে শুরু করে। আমি বুঝতে পারছিলাম না যে কী হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানালার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ভয় হচ্ছিল যে সেগুলো ভেঙে পড়বে। প্রায় ৪-৫ মিনিট ধরে এটা চলে। পুরো বিষয়টি ভয়ঙ্কর ছিল।’

গাজা উপত্যকায় থাকা বিবিসির প্রযোজক রুশদি আবুয়ালুফ জানান, তিনি যে বাড়িতে থাকেন, সেখানে প্রায় ৪৫ সেকেন্ড ধরে কম্পন অনুভূত হয়েছে। স্থানীয় সিসমোলজিস্টরা ভূমিকম্পটির মাত্রা ৭.৮ ছিল বলে জানাচ্ছেন। তারা বলছেন, ভূমিকম্পটি আঘাত হানার কয়েক মিনিট পরেই দ্বিতীয় আরেকটি কম্পন অনুভূত হয়। 

তুরস্ক পৃথিবীর অন্যতম সক্রিয় ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলগুলোর একটিতে অবস্থিত। এর আগে, ১৯৯৯ সালে দেশটির উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন।

ঢাকা বিজনেস/এম



আরো পড়ুন