দিনাজপুরের হিলিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা কমেছে রসুনের দাম। আর আদার দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা। তবে নতুন রসুন খুচরা ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, বাজারে নতুন দেশি রসুন উঠায় চায়না রসুন এখন ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও রোববার (১৬ ফ্রেব্রুয়ারি) বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজি দরে। প্রতিকেজি আদা ১০০ টাকার স্থলে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। আর বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে নতুন রসুন আসায় চায়না রসুনের দাম একটু কমেছে। তবে আদার সরবরাহ কমে যাওয়ায় ২০ বেশি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।
হিলিবাজারে আদা কিনতে আসা মো. জামাল হোসেন বলেন, গেলো সপ্তাহে আদা ১০০ টাকা কেজি দরে কিনেছি। আর আজ কিনলাম ১২০ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি আদার দাম বেড়েছে ২০ টাকা ।
রসুন কিনতে আসা মো. জুলফিকার আলী বলেন, চায়না রসুন গত সপ্তাহে ২৪০ টাকা কেজি দরে কিনেছি। আজ কেজিতে ২০ টাকা কমে ২২০ টাকা দরে কিনলাম। বাজারে নতুন দেশি রসুন ওঠায় হয়তো চায়না রসুনের দাম কমেছে। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে। তবে দেশি রসুন নতুন হওয়ায় চায়না রসুনের চেয়ে কম শুকনো।
হিলিবাজারের আদা-রসুন বিক্রেতা মো. মোকারম হোসেন বলেন, বাজারে আদার সরবরাহ একটু কমেছে। গত সপ্তাহে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে কিনে ১০০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। আর এ সপ্তাহে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে কিনে ১২০ টাকায় বিক্রি করছি।
মোকারম হোসেন আরও বলেন, বাজারে নতুন দেশি রসুন ওঠায় চায়না রসুনের দাম কেজি ২০ টাকা কমে বিক্রি করছি। ২৪০ টাকা স্থলে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আর নতুন দেশি রসুন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে কিনে ১৫০ টাকায় বিক্রি করছি। দেশি রসুনের সরবরাহ বাড়লে চায়না রসুনের দাম আরও কমে আসবে।