শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে দিনাজপুরের হিলির পানবরজ মালিকদের মাথায় হাত পড়েছে। রোগ বালাই দেখা দিয়েছে পানবরজগুলোতে। পানপাতা কালো ও লালচে হয়ে যাচ্ছে। উৎপাদনও কমে গেছে। মালিকদের দাবি, ওষুধ দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। পচে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগ বলছে, শীতের প্রভাব পানবরজে পড়বে এটা স্বাভাবিক। তবে মালিকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ( ১৯ জানুয়ারী) পানবরজ মালিকসহ কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
ঘাসুরিয়া গ্রামের পানবরজ মালিক আব্দুল মালেক বলেন, ‘আমার এক বিঘা জমির ওপর দুটি পানের বরজ আছে। প্রতিবছর শীতের সময় পানবরজে বিভিন্ন রোগ বালাই দেখা দেয়। এবার একটু ক্ষতির পরিমাণ বেশি। পান কালো হয়ে গেছে। বাজারে নিয়ে গিয়ে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
মাধবপাড়া গ্রামের পানবরজ মালিক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এই গ্রামটি পলি এলাকা। তাই অন্যান্য ফসল আবাদের চেয়ে পানবরজ লাভজনক। তাই এই গ্রামের মানুষ পানবরজের প্রতি আগ্রহী। কিন্তু এবার ঘন কুয়াশা আর প্রচণ্ড শীতের কারণে বরজগুলোতে পানপাতা লালচে হয়ে যাচ্ছে। উৎপাদনও কমে গেছে। ওষুধ প্রয়োগ করেও কোনো লাভ হচ্ছে। এতে আমাদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।’
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ড. মমতাজ সুলতানা ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘হিলিতে ১৭৮টি পানবরজ রয়েছে। শীতের সময় পানবরজগুলোতে বিভিন্ন রোগ বালাই দেখা দেয়। তবে উপজেলা কৃষি বিভাগ রোগ বালাইয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে পানবরজ মালিকদের ওষুধ প্রয়োগসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।’
ঢাকা বিজনেস/এম