২৬ জানুয়ারী ২০২৫, রবিবার



ক্যাম্পাস
প্রিন্ট

নতুন বছরে রাবিপ্রবিয়ানদের ভাবনা

আদিত্য চৌধুরী, রাবিপ্রবি || ০৪ জানুয়ারী, ২০২৫, ০১:০১ পিএম
নতুন বছরে রাবিপ্রবিয়ানদের ভাবনা


দেখতে দেখতে চলে আসলো নতুন বছর। বিগত বছর জুলাই অভ্যুত্থান ও বিভিন্ন সমস্যায় দিন পার করেছে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি)। নতুন বছরে নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে রাবিপ্রবিয়ানদের রয়েছে নানান চিন্তা-ভাবনা। সেসব চিন্তা-ভাবনা ও সম্ভাবনার কথা এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাফিক বিন সাইদ বলেন, নতুন বছরকে ঘিরে রাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা হলো দীর্ঘসূত্রীয় সেশনজটের অবসান এবং শিক্ষা কার্যক্রমে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। উন্নত পরিবেশে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার স্বপ্নই আমাদের প্রধান ভাবনা। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সামসিদ দোহা বলেন, জুলাই বিপ্লবের মতো চমৎকার হোক আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে! সব সংকট কাটিয়ে শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশসহ বিশ্বশিক্ষার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভবিষ্যৎ উপযোগী পরিবেশ হোক এই কামনা করি! 

ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী যেবুন আক্তার বলেন, চলমান কিছু সংকট বিশ্ববিদ্যালয়ের চলার পথকে কণ্টকাকীর্ণ করে রাখলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা দূর করতে সক্ষম হবে বলে আশা করি।  অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সামগ্ৰিক সংকট নিরসনের আশা রাখছি। গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রম এ বাজেট বৃদ্ধির প্রত্যাশা রাখি। পরিশেষে, আশা রাখছি শিক্ষা ও গবেষণায় রাবিপ্রবি জায়গা করে নিবে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায়।

ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী জ্যাকসান মারমা বলেন, নতুন বছরে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধি, অ্যাকাডেমিক মানোন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস তৈরির দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক ল্যাব সুবিধা ও ক্যারিয়ার উন্নয়ন কার্যক্রম চালু করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছি। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করা যেতে পারে। পাশাপাশি, স্কলারশিপ ও মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা নিশ্চিত করাও জরুরি। 

বিশ্ববিদ্যালয়টির সর্বাপেক্ষা নবীন বিভাগ তথা ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্সেস টেকনোলোজি বিভাগের শিক্ষার্থী নিলয় দে জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক নিজের ভাবনা। তিনি বলেন, আমাদের ডিপার্টমেন্টেও এখনো পর্যন্ত কোনো স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। আমাদের নতুন আরেকটি ব্যাচ এসেছে। কিন্তু আমাদের এখনো কোনো ল্যাবরুম নেই। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান, আমাদের এই চাওয়া-পাওয়াগুলোকে তারা যেন প্রাধান্য দেয়। নতুন বছরে নতুনদের জন্য সবক্ষেত্রে আরও উন্নত রাবিপ্রবি দেখতে চাই।



আরো পড়ুন