দিনাজপুরের হিলিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি ভারতীয় ও দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০ টাকা করে। এক সপ্তাহ আগে গেলো রোববার (সেপ্টেম্বর) প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৮০ টাকা দরে। আর রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। এদিকে ১০০ টাকা কেজি দরের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে।
ক্রেতারা বলছেন, একমাস আগে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা কেজি দরে। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি দরে। এক মাসের ব্যবধানে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। আর বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ আগে চেয়ে কমে গেছে। তাই আমাদের বেশি দামে পেঁয়াজ কিনে বেশি বিক্রি করতে হচ্ছে।
হিলিবাজারে কথা হয় সবজি কিনতে আসা মো. রাসেল মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গত রোববার আমি প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ কিনি ৮০ টাকা দরে। আর আজ কেজিতে ২০ টাকা বেশি দিয়ে ১০০ টাকায় কিনতে হলো।’
রাসেল মিয়া আরও বলেন, ‘ভারত থেকে তো পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত আছে। হিলিবন্দর দিয়েই পেঁয়াজ আসে। আর এখানেই দাম বেশি।’ তিনি পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।
আরেক পেঁয়াজ ক্রেতা মো. আজমত আলী বলেন, ‘আমি দেশি পেঁয়াজ কিনি। একমাস আগে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ কিনি ৮০ টাকা দরে। এক সপ্তাহ আগে ১০০ টাকা কেজি দরে । আজ এক সপ্তাহ পরে কিন্তু হচ্ছে ১২০ টাকা দরে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম।’
হিলিবাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. মোকারম হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘আমাদের কী করার আছে বলুন? আমরা যে দামে পেঁয়াজ কিনি, তার ওপর কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করি। এরমধ্যে অনেক সময় পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয়ে যায়। তখন আবার লোকসান গুনতে হয়ে।’
মোকারম হোসেন আরও বলেন, ‘গত রোববার ভারতীয় পেঁয়াজ মানভেদে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে কিনে ৮০ টাকা দরে বিক্রি করি। আর এ সপ্তাহে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি দরে কিনে ১০০ টাকায় বিক্রি করছি। এদিকে, কৃষকদের ঘরে দেশি পেঁয়াজের মজুত দিনদিন কমে আসায় বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। যেটুকু আসছে ১১০ টাকা কেজি দরে কিনে ১২০ টাকায় বিক্রি করছি।’