১২ বছর পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নাজমুল হাসান পাপন। বুধবার (২১ আগস্ট) ই-মেইলের মাধ্যমে তিনি পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, আজ বোর্ডের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে পরিচালনা পর্ষদের জরুরি সভা ডাকে বিসিবি। সচিবালয়ে অবস্থিত যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমের এই বৈঠকে অনলাইনে যোগ দিয়ে পদত্যাগ করেন তিনি। সর্বসম্মতিক্রমে তার পদত্যাগ পত্র গৃহীত হয়েছে।
গত ৫ই আগস্ট হাসিনা পালানোর পর সরকার পতন হয়। এরপর থেকেই লাপাত্তা ছিলেন পাপন। এর কিছুদিন পর বিসিবির এক পরিচালককে ফোন করে পদত্যাগের ইচ্ছার কথা জানান তিনি।
এরপর আজ গঠনতন্ত্র অনুসারে সভা ডাকেন পাপন। এরপর সেখানেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।
২০১২ সালে নিয়োগের পর থেকে টানা দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের উল্লেখযোগ্য অর্জনটাও ছিল তার সময়ে। যদিও নিজের মেয়াদের শেষদিকে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দ্বিতীয়বারের নিয়োগ, ক্রিকেটার এবং বোর্ডের একাধিক ব্যক্তির মধ্যে অন্তঃকলহ পরিবেশ কিছুটা হলেও বিষাক্ত হয়েছিল।
২০১৩ সালের পর ২০১৭ ও ২১ সালে টানা তিনবার নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পাপন। ২০১৩ সালে নাজমুল হাসান পাপন এনএসসি কোটায় পরিচালক হয়েছিলেন। পরবর্তীতে পরিচালকরা তাকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেন। গত দুই নির্বাচনে তিনি ঢাকা আবাহনীর কাউন্সিলর হিসেবে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। পরবর্তীতে একই প্রক্রিয়ায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন পাপন।
নাজমুল হাসান পাপনের বর্তমান অবস্থান অজানা। ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপে তাকে সভাপতি পদ থেকে নামানো হলে ছিল আইসিসির নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা। তবে পাপন নিজেই এই পদ থেকে পদত্যাগ করায় সেই শঙ্কাই আপাতত দূর হলো।