২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শুক্রবার



লাইফ স্টাইল
প্রিন্ট

এমপক্স কী, কিভাবে ছড়ায় এই রোগ

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ১৭ আগস্ট, ২০২৪, ০৭:৩৮ পিএম
এমপক্স কী,  কিভাবে ছড়ায় এই রোগ


আন্তর্জাতিক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এমপক্স বা মাংকিপক্স। আফ্রিকা থেকে উদ্ভূত এমপক্সে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে এই রোগ আমলে নিয়ে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। আফ্রিকা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে কঙ্গোতে ২০২৪ সালের শুরু থেকে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ এমপক্সে আক্রান্ত হয়েছে আর এতে ৪৫০ এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমপক্স সম্পর্কে বিভিন্নন তথ্য উঠে এসেছে। 

এমপক্স: এই রোগটি গুটিবসন্তের একই গোত্রীয় ভাইরাস হলেও এমপক্স সাধারণত অনেক কম ক্ষতিকারক। প্রথমে এটি প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়েছিল। কিন্তু এখন এটি মানুষ থেকে মানুষেও ছড়ায়। সময়ের সঙ্গে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।  

এমপক্সের লক্ষণ 
এই রোগে আক্রান্তদের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ফোলা, পিঠে এবং পেশিতে ব্যথা। আক্রান্ত ব্যক্তির একবার জ্বর উঠলে গায়ে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। সাধারণত মুখ থেকে শুরু হয়ে পরে হাতের তালু এবং পায়ের তলদেশসহ শরীরের অন্যান্য অংশে তা ছড়িয়ে পড়ে।

অত্যন্ত চুলকানো বা ব্যথাদায়ক এই ফুসকুড়িগুলো পরিবর্তন হয় এবং বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে স্ক্যাব বা গোল গোল পুরু আস্তরে পরিণত হয়ে শেষে পড়ে যায়। এর ফলে দাগ সৃষ্টি হতে পারে।

যেভাবে এমপক্স ছড়ায়: এমপক্স ভাইরাসের নতুন প্রকরণটি বেশ উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে শিশুদের মধ্যে এটি ব্যাপক হারে ছড়াচ্ছে। কঙ্গো ছাড়িয়ে এই ভাইরাসের নতুন প্রকরণটি রুয়ান্ডা, উগান্ডা, বুরুন্ডি ও কেনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এই রোগ কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে সেটা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। চিকিৎসকড়া একাধিক কারণ বলেছেন এই রোগ ছড়িয়ে যাওয়ার। 

এমপক্স সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক, সরাসরি সংস্পর্শ কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি এসে কথা বলা বা শ্বাস নেয়ার মতো ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে এটি একজনের থেকে অন্যজনে ছড়িয়ে পড়ে।

ভাইরাসটি ফাটা চামড়া, শ্বাসতন্ত্র বা চোখ, নাক বা মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

ভাইরাসে দূষিত হয়েছে এমন জিনিস যেমন বিছানা, পোশাক এবং তোয়ালে স্পর্শের মাধ্যমেও এটি ছড়াতে পারে।

বানর, ইঁদুর এবং কাঠবিড়ালির মতো কোনো প্রাণী যদি এতে সংক্রমিত হয় আর কেউ যদি ওই সংক্রমিত প্রাণীর সঙ্গে বেশি কাছাকাছি আসে তবে তিনি এতে আক্রান্ত হতে পারেন।

২০২২ সালের বৈশ্বিক প্রাদুর্ভাবের সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। কঙ্গোর বর্তমান প্রাদুর্ভাবের বড় একটি কারণ আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। ছোট শিশুসহ অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে এমপক্স পাওয়া গেছে।



আরো পড়ুন