ঈদের ৫ দিন পর দিনাজপুরের হিলিতে সব ধরনের মাছের বেড়েছে কেজি ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। ক্রেতারা বলছেন, ঈদের পর মাছের চাহিদা বাড়ায় মাছ বিক্রেতারা সুযোগ নিচ্ছেন। তারা মাছের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) হিলিবাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।
বাজারে দেখা গেছে, যে সিলভারকাপ (ছোট) মাছে কেজি ছিল ১৪০ টাকা। সেই সিলভারকাপ মাছ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে। আর বড় সিলভারকাপ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। ২৫০ টাকা কেজির রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। পাঙ্গাস মাছ (বড়) ঈদের আগে প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা কেজি দরে। এখন বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি দরে। ২০০ টাকা কেজি দরের বড় সাইজের তেলাপোয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে। এভাবে প্রতিটি মাছের দাম বেড়েছে।
হিলিবাজারে মাছ কিনতে এসেছেন মো. কবিরুল ইসলাম । তিনি বলেন, ‘ঈদের আগে যে গোস্ত কিনেছিলাম, সেগুলো শেষ হয়ে গেছে। আজ বাড়িতে আত্মীয়স্বজন এসেছে। ভাবলাম অল্প কিছু গোস্ত আর মাছ কিনবো। কিন্তু গোস্তের দাম যদিও আগের মতোই আছে, তবে মাছের দাম বেড়েছে । সব প্রজাতির মাছের দামই বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকার ওপরে। ২৫০ টাকা কেজি দরে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। এছাড়াও অন্যান্য মাছের দামও বেড়েছে।’
আরেক ক্রেতা মো. রানা সরকার বলেন, ‘ছেলে-মেয়েরা বাইরে লেখাপড়া করে। ম্যাচে ব্রয়লার ও পাঙ্গাস মাছ খেতে খেতে বিরক্ত হয়ে গেছে। আজ ছোট মাছ খেতে চেয়েছে। তাই বাজারে এসেছি ছোট মাছ কিনতে। কিন্তু অন্য মাছের তুলনায় ছোট মাছের দাম বেশি। মলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে। ছেলে-মেয়েদের ইচ্ছে পূরণ করতে৩০০ টাকা দিয়ে ৫০০ গ্রাম মলা মাছ কিনলাম।’
মাছ বিক্রেতা কাজল হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘বাজারে মাছের সরবরাহ আগের চেয়ে বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে দামও। মাছচাষিরা বেশি দাম পাওয়ার আশায় ঈদের আগে পুকুর থেকে তেমন একটা মাছ তোলেননি। এখন মাছের সাইজ অনেক বড় হয়েছে। আর বড় সাইজের মাছের দাম বেশি হবেই। এটা স্বাভাবিক। তাই দাম একটু বেড়েছে।’
কাজল আরও বলেন, ‘কয়েকদিন পর বড় সাইজের মাছ শেষ হলে আবার ছোট সাইজের মাছ বাজারে আসবে। তখন এমনিতেই দাম কমে যাবে।’
ঢাকা বিজনেস/এনই/