২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার



টাঙ্গাইলে মাসব্যাপী বিনামূল্যে ইফতার

আব্দুল্লাহ আল নোমান, টাঙ্গাইল || ২০ মার্চ, ২০২৪, ০১:৩৩ পিএম
টাঙ্গাইলে মাসব্যাপী বিনামূল্যে  ইফতার


টাঙ্গাইল শহরের শহীদ মিনার সাজানো হয়েছে ইফতারের পসরা। ত্রিবেণী টাঙ্গাইল এবং বিন্দুবাসিনী বালক উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি ব্যাচ ১৯৯২-এর উদ্যোগে বিনামূল্যে ইফতার বিতরণ করা হচ্ছে। পেছনে ব্যানারে লেখা রয়েছে ‘মাসব্যাপী সবার জন্য ইফতার।’ ইফতারের সময় হলে দরিদ্র এবং পথচারী; সবাই এখান থেকে বিনামূল্যে ইফতারি সংগ্রহ করছেন। 

ইফতারের সাইরেন বাজার সঙ্গে সঙ্গে রীতিমতো ভিড় লেগে যায়।  শুধু গরিব ও অসহায়রা নন, টাঙ্গাইল শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের জন্যও এখান থেকে বিনামূল্যে ইফতার দেওয়া হয়।   প্রতিদিন প্রায় ৩০০ জনের মতো রোজাদার বিনামূল্যে এখানে ইফতার করছেন।  

ইফতারে সপ্তাহে ৪ দিন দেওয়া হয় ছোলা, মুড়ি, আলুরচপ, বেগুনি, পিঁয়াজু, জিলাপি, শসা, ফল ও শরবতসহ বেশ কয়েকটি আইটেম। বাকি তিন দিন দেওয়া হয় খিচুড়ি ও মাংস।   

সরেজমিনে দেখা গেছে, ইফতার করার জন্য সারিবদ্ধভাবে লোকজন বসে আছে। অনেকেই স্কুল-ছাত্র, কেউ ব্যবসায়ী, আবার অনেকেই ভ্যানচালক, রিকশাচালক, পথচারী, ভিক্ষুক, অসহায় ও দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ। আসেন অনেক ধনী মানুষও।  

বিনামূল্যে ইফতার করতে পেরে অসহায় গরিব মানুষেরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন। তারা বলেন, ‘আমাদের ইফতার কেনার সামর্থ্য নেই। তাই এখানে ইফতার করতে এসেছি। অন্য বছরগুলোতেও আমারা বিনামূল্য এখানে ইফতার করেছি।’

অনেক পথচারী ও ধনীরাও এখানে ইফতার করছেন। তারা বলেন, হাতে সময় কম থাকায় রাস্তার পাশেই এমন আয়োজন দেখে তারা ইফতার করতে এসেছেন। ইফতার করে আমরা সন্তোষ্ট। আয়োজনদের কাছে দাবি গরিব ও অসহায়দের জন্য এমন আয়োজন অব্যহত থাকুক।

এ প্রসঙ্গে ত্রিবেণীর সদস্য সুকুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘আট বছর ধরে রমজানে মাসে আমরা বিনামূল্যে সবার জন্য ইফতারের আয়োজন করে আসছি। করোনার কারণে একবছর এ কার্যক্রম বন্ধ ছিল। প্রতিদিন ৩০০ রোজাদার মানুষ এখানে ইফতার করেন। মূলত পথচারী ও গরিব মানুষের জন্য এমন আয়োজন করা হয়ছে। এই বছর থেকে টাঙ্গাইল শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে কর্তব্যরত ৩০ জন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের জন্যও এখান থেকে বিনামূল্যে ইফতার দেওয়া হচ্ছে। এতে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।’

এ ব্যাপারে ত্রিবেণীর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শামিমুর রহমান বাবু বলেন, ‘সংগঠনের ৬০ জন সদস্যদের নিজস্ব অর্থায়নে এমন আয়োজন করা হয়েছে। এমন কাজ করতে আমাদের খুব ভালো লাগে। আগামীতে এ ধারা অব্যহত থাকবে। বৃত্তবানরা এবং বিভিন্ন সংগঠন যদি এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেন তাহলে দেশে সবাই পবিত্র রমজান মাসে ভালো ইফতার করার সুযোগ পাবে।’

ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন