২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার



বিপুল ভোটের ব্যবধানে শাহবাজ শরিফ ফের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || ০৩ মার্চ, ২০২৪, ০৮:৩৩ পিএম
বিপুল ভোটের ব্যবধানে শাহবাজ শরিফ ফের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত


বিপুল ভোটের ব্যবধানে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) সভাপতি শাহবাজ শরিফ দ্বিতীয় মেয়াদে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পেয়েছেন ২০১ ভোট। তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী পিটিআইয়ের পক্ষে ওমর আইয়ুব খান পেয়েছেন ৯২ ভোট। জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক এমন ঘোষণা দিয়েছেন। খবর দ্য ডন

এর আগে রোববার (৩ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে দেশটির ১৬তম সাধারণ নির্বাচনের প্রায় দু'মাস পর জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। এই অধিবেশনের কেন্দ্রে ছিল ২৪তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে সরাসরি ভোটগ্রহণ পর্ব। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সদ্য নির্বাচিত জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। 

সাত দলীয় জোটের মনোনীত প্রার্থী পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) সভাপতি শাহবাজ শরিফের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) প্রার্থী ওমর আইয়ুব খান। 

দেশটিতে সবশেষ নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারেনি পিটিআই। ফলে নির্বাচনে জয়ী পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে যোগ দিয়ে ওই দলের হয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য প্রার্থী দিয়েছেন। আর সেই প্রার্থী হচ্ছেন পিটিআই নেতা ওমর আইয়ুব।

এর আগে, শনিবার (২ মার্চ) শাহবাজ ও আইয়ুবের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন দুই দলের প্রতিনিধিরা। পরে তাদের মনোনয়নপত্র অনুমোদন দেয় দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)।

এবারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পেছনে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি), মুতাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি), ইস্তেহকাম-ই-পাকিস্তান পার্টিসহ ৭টি দলের সমর্থন পেয়েছেন। 

দেশটির সংবিধানে বলা রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হতে হলে কোনো প্রার্থীকে জাতীয় পরিষদের ৩৩৬ সদস্যের মধ্যে ১৬৯ জনের ভোট পেতে হবে। যদি প্রধানমন্ত্রী পদে দুইয়ের অধিক প্রার্থী থাকেন এবং কোনো প্রার্থীই সংখ্যাগরিষ্ঠতা (১৬৯ ভোট) পেতে ব্যর্থ হন; তবে আবারও ভোট নেয়া হবে। প্রথম দফায় সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুজন পরবর্তী দফায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। যিনি ৫১ শতাংশ ভোট পাবেন, তিনি পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।

দেশটির জাতীয় পরিষদে মোট ৩৩৬টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ৭০টি আসন সংরক্ষিত। নারীদের ৬০টি ও সংখ্যালঘুদের জন্য ১০টি। তবে সংরক্ষিত আসনের সদস্য নির্বাচন ছাড়াই আজ প্রধানমন্ত্রী পদে ভোট হয়।



আরো পড়ুন