দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার কমেছে। ৬ মাস আগে যেখানে প্রতিদিন গড়ে ৫ শতাধিক যাত্রী পারাপার হতো, বর্তমানে ৩০০ থেকে ৩৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু কী কারণে যাত্রী পারাপার কমেছে, সেই বিষয়ে কেউ নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) হিলি ইমিগ্রেশন চত্বরে পাসপোর্টধারী যাত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
হিলি চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন খোরকা চন্দ্র। তিনি বলেন, ‘ভারতে অনেক আত্মীয়স্বজন আছে। নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরে তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। তাই আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে ভারত গিয়েছিলাম। আজ দেশে ফিরে এলাম।’
আরেক পাসপোর্টধারী যাত্রী আকবর হোসেন, ‘আমরা সপরিবারে ভারতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। ভারতের কলকাতা, দার্জিলিং, শিলিগুড়িসহ দর্শনীয় বিভিন্ন স্থান ঘুরে কটিয়েছি। ভারতে ১৫ দিন থেকে আজ দেশে ফিরলাম।’
হিলি চেকপোস্ট দিয়ে ভারতগামী যাত্রী আজমিরি আক্তার বলেন, ‘আমি চিকিৎসার জন্য ভারতে যাচ্ছি। বাংলাদেশ হিলি ইমিগ্রেশনে তেমন দেরি হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী লাইনে দাঁড়িয়ে স্বল্প সময়ে পাসপোর্টের যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করেছি। এখন জিরোপয়েন্ট পার হয়ে ভারত যাবো।’
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল আলম ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘বর্তমানে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপারের সংখ্যা অন্যান্য সময়ের চেয়ে কিছুটা কমেছে। ৬ মাস আগে এই চেকপোস্ট দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ৫ শতাধিক যাত্রী যাতায়াত করতেন। বতর্মানে তা কমে গড়ে প্রতিমাসে ৩ থেকে সাড়ে ৩ জন যাত্রী পারাপার হচ্ছে। বাংলাদেশ হিলি ইমিগ্রেশনে খুব দ্রুত সময়ে পাসপোর্টের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে। যেন যাত্রীরা স্বল্প সময়ে তাদের গন্তেব্যে পৌঁছাতে পারেন।’ কিন্তু যাত্রী পারাপার কমে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি স্পষ্ট কিছু বলতে পারেননি।