২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



তথ্যমন্ত্রী
প্রিন্ট

বিএনপি নির্বাচন প্রতিহতের অপচেষ্টা করলে জনগণ দমন করবে: তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ২৭ আগস্ট, ২০২৩, ০৭:০৮ পিএম
বিএনপি নির্বাচন প্রতিহতের অপচেষ্টা করলে জনগণ দমন করবে: তথ্যমন্ত্রী


বিএনপি যে নির্বাচন বর্জনের হুমকি দেয়, তাতে কিছু আসে-যায় না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী  ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘ তারা সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্জন করেছিল। জনগণ বর্জন করেনি। ৫০ শতাংশের বেশি ভোট মানুষ দিয়েছে। নির্বাচন বর্জন করার অধিকার তাদের অবশ্যই আছে। কিন্তু যদি কেউ নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করে, এ দেশের মানুষ কঠোর হস্তে তা দমন করবে।’ 

রবিবার (২৭ আগস্ট) বিকালে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে আইভি রহমান পরিষদ আয়োজিত ‘গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী আইভি রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা’য় তিনি এসব কথা বলেন। 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটি ২০১৪ সাল নয়, এটি ২০২৩ কিম্বা ২০২৪ সাল। সুতরাং এখন ঐ ২০১৩-২০১৪ সালের অরাজকতার পুনরাবৃত্তির অপচেষ্টা দেশের মানুষ করতে দেবে না।’ 

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা এবং ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলার জন্য বিএনপি নেতাদের দায়ী করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন মুশতাক ও জিয়া এবং ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন তারেক জিয়া। তারা আসলে হত্যার রাজনীতিটাই করেন। হত্যার রাজনীতির মাধ্যমেই জিয়াউর রহমানের উত্থান ও ক্ষমতা টিকে থাকার জন্য এই হত্যা সে অব্যাহত রেখেছিলেন, তার বিরুদ্ধে যখনই সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছে তখনই নির্বিচারে সেনাবাহিনীর অফিসার এবং জওয়ানদের হত্যা করা হয়েছিলেন। জিয়াউর রহমানের স্ত্রীর প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই, খালেদা জিয়ার বিএনপি দশ বছর ক্ষমতায় ছিল কিন্তু জিয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি। কারণ কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের হবে সে জন্য।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, তাদের দাবি প্রতিষ্ঠা করার জন্য রাজনৈতিক স্বার্থে মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা মারে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে, পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করে, পুলিশ হত্যা করে। তারা স্কুল ঘর পুড়িয়ে দেয়, সঙ্গে শিশুদের স্বপ্নকেও পুড়িয়ে দেয়। ২০১৪ সালে পাঁচশ স্কুল ঘর পুড়িয়ে দিয়েছিল, সঙ্গে নতুন বইও পুড়িয়ে দিয়েছিল। বাসে আগুন, লঞ্চে আগুন, ট্রেনে আগুন এভাবে সব জায়গায় যে অগ্নিসন্ত্রাস, এটি বিএনপি করেছে। ঢাকা শহরে জিয়াউর রহমান যেমন গাছ কেটেছে তারাও ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে গাছ কেটেছে, মুরগিবাহী- গরুবাহী ট্রাকের ওপর হামলা, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা এই হচ্ছে বিএনপির চরিত্র।’ 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের স্বার্থে, সুস্থ রাজনীতির স্বার্থে মানুষ হত্যা, জিঘাংসার রাজনীতি, প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ চিরদিনের জন্য বন্ধ হওয়া দরকার। কিন্তু যারা প্রতিহিংসা করে ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট ঘটিয়েছে, সুরঞ্জিত বাবুর সমাবেশে, শেখ হেলাল এমপির সমাবেশে বোমা হামলা চালিয়েছে, আহসান উল্লাহ মাস্টার, কিবরিয়া সাহেবকে বোমা মেরে হত্যা করেছে, সেই বিএনপি-জামাত যদি রাজনীতির দৃশ্যপটে থাকে আমরা রাজনীতিকে কুলষমুক্ত করতে পারবো না।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এখন দেখলাম তিন নেতা সিঙ্গাপুর গেছে। পত্রপত্রিকায় লিখছে, এটি কি আসলে চিকিৎসা না কি আরও কোনো ষড়যন্ত্র করার উদ্দেশ্যে তাদের তিন নেতা একইসঙ্গে সিঙ্গাপুর গেলেন। পত্রিকায় দেখলাম যে বিএনপি অফিসে ছাত্রদল তালা লাগিয়ে দিয়েছে। কখন যে নয়াপল্টন অফিসে যুবদল তালা লাগিয়ে দিয়ে দেয়। সেটিই দেখার বিষয়। বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিয়ে কোনো লাভ হয়নি দেখে তাদের ঘরের মধ্যে এখন অন্তর্জ্বালা শুরু হয়েছে।’ 

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেন, আইভি রহমান পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান খোকা, মুহাম্মদ রোকন উদ্দিন পাঠন, ডিইউজে’র সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, গ্রেনেড হামলায় আহত অ্যাডভোকেট কাজী সাহানারা ইয়াসমীন প্রমুখ।

ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন