২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



হিলিতে কাঁচামরিচ দামে ‘পাকা তেলেসমাতি’

আনোয়ার হোসেন বুলু, হিলি (দিনাজপুর) || ০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ০১:০২ পিএম
হিলিতে কাঁচামরিচ দামে ‘পাকা তেলেসমাতি’


দিনাজপুরের হিলিতে কাঁচামরিচের দাম নিয়ে ক্রেতাদের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। একই বাজারে কোনো বিক্রেতা বিক্রি করছেন ৪০ টাকা কেজি দরে। আবার কোনো বিক্রেতা বিক্রি করছেন ৬০ টাকা কেজি দরে। আর ক্রেতারা বলছেন, একই বাজারে কেজিতে কাঁচামরিচের দাম কেন ২০ টাকা কমবেশি তা আমাদের মাথায় আসছেনা। এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, ৪০ টাকা দরে যেসব কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে, সেগুলো  হাইব্রিড জাতের। আর ৬০ টাকা কেজি দরে যেসব কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে, সেগুলো দেশি জাতের। শুক্রবার (৯ জানুয়ারি) সকালে হিলিবাজারে ঘুরে কাঁচামরিচ ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। 

কাঁচামরিচ ক্রেতা মো. আজিবর রহমান বলেন, ‘১ সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। ৮০  টাকা কেজি দরের কাঁচামরিচ আজ শুক্রবার  বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা টাকা কেজি দরে। যা গেলো শুক্রবার বিক্রি হয়েছিল ৮০ টাকায়।’  আর বিক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহে শীতের কারণে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় কাঁচামরিচ বেশি দামে কিনতে হয়। তাই বিক্রিও করতে হয় বেশি দামে। এ সপ্তাহে শীতের তীব্রতা কমে আসায় সরবরাহ বেড়েছে। তাই দামও কমেছে।  

বিক্রেতা মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে কাঁচামরিচ কিনে খুচরা ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। দেশি কাঁচামরিচের দাম বেশি । তাই হাইব্রিড মরিচই বিক্রি করি। দাম বেশি চাইলে ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নেন।’ 

কাঁচামরিচ বিক্রেতা মো. মোকারম হোসেন বলেন, ‘আমি  হাইব্রিড জাতের কাঁচামরিচ বিক্রি করি না। কারণ হাইব্রিড জাতের কাঁচামরিচের ঝাঁল কম। তাই দেশি কাঁচামরিচ বিক্রি করি।’

মোকারম হোসেন আরও বলেন, ‘আমি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে কিনে ৬০ টাকায় বিক্রি করছি। এতে কেজিতে ৫ টাকা করে লাভ থাকছে। কিন্তু সাধারণ ক্রেতারা সেটা না বুঝে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন। এতে আমাদেরও বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। বিষয়টি ক্রেতারাদের বোঝা উচিত।’



আরো পড়ুন