গ্রামীণ পিঠার ঐহিত্য ধরে রাখতে টানা তৃতীয় বারের মতো দিনাজপুরের হিলিতে দুই দিনব্যাপী গ্রামীণ পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে। নানা ধরনের গ্রামীণ পিঠার স্বাদ নিতে দুই দিনের এই পিঠা উৎসবে সব বয়সী মানুষের ভিড় জমেছে। আয়োজকরা বলছেন, বাঙালির পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে ও খুদে শিক্ষার্থীদের গ্রামীণ পিঠার সঙ্গে পরিচয় করাতেই এই আয়োজন করা হয়েছে। এদিকে, শিক্ষার্থীরা জানালো, এমন উৎসবে বিভিন্ন ধরনের গ্রামীণ পিঠা নাম শুনে দেখে আপ্লুত তারা। শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এই গ্রামীণ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন খট্রামাধবপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. কাওছার রহমান
পিঠা উৎসবের দোকানদার মোছা. সাবিনা ইয়াসমীন বলেন, ‘একসময় শীতকালে বাঙালির ঘরে ঘরে মুখরোচক পিঠাপুলির আয়োজন করা হতো। তবে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙালির সেই গ্রামীণ পিঠার ঐতিহ্য।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে নানা ধরনের ফাস্ট ফুড খাবারের কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে অনেক পিঠাপুলি। বাঙালির ঐতিহ্য নানা পিঠাপুলির সঙ্গে ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরতেই তৃতীয় বারের মতো হিলিতে ডাঙ্গাপাড়া মডেল স্কুলে শুরু হয়েছে এই পিঠা উৎসব। ’
আরেক দোকানদার মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘এবার বিভিন্ন স্টলে ধান সেমাই,ভাপা,পুলি দুধ,পুলি, পাটিসাপটা , ঝিনুক পুলি, জামাই সোহাগী, গোলাপ, কানমুচুরি, পুডিং, পায়রা, তেল পিঠা,দুধ চিতাই, মুঠা পিঠা, ক্ষীর, রসগোল্লা, কেক, গোলাপ ফুল, তেলেভাজা রসপিঠা, রোল পিঠা, লাভ পিঠা, শিম ফুল পিঠা, ডালবড়া, নারিকেল পিঠা, নকশি পিঠা, নয়নতারা পিঠাসহ অর্ধ শতাধিক পিঠার পসরা সাজানো হয়েছে।’
চেয়ারম্যান কাওছার রহমান বলেন, ‘উদ্বোধনের পর থেকেই পিঠা উৎসবে আসছেন নানান বয়সী মানুষ। সঙ্গে নিয়ে আসছেন তাদের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের। পিঠা উৎসবে শুরুর পর থেকেই উপচেপড়া ভিড়। স্টলগুলোতে তারা নিচ্ছেন হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ পিঠার স্বাদ।’
পিঠা উৎসবের আয়োজক আনোয়ারুল ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘আমরা টানা তৃতীয় বারের মতো এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমাদের হারিয়ে যাওয়া পুরনো পিঠার ঐহিত্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। সেই সঙ্গে খুদে শিক্ষার্থীসহ সব বয়সী মানুষদের গ্রামীণ পিঠার সঙ্গে পরিচয় কারনোর চেষ্টা করছি।’
আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এমন আয়োজনে খুশি এই অঞ্চলের শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণীর মানুষ। অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের নিয়ে আসছেন এই পিঠা উৎসবে । এবারের ডাঙ্গাপাড়া মডেল স্কুল মাঠে পিঠা উৎসবে ৯টি স্টলে ৫২ রকমের পিঠাপুলির পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ। এই পিঠা উৎসব আজ শেষ হবে।’
ঢাকা বিজনেস/এনই/