দিনাজপুরের হিলিতে শীতের কারণে মাছের সরবরাহ কমেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, বাজার চাহিদা অনুয়ায়ী মাছ না আসায় বেড়েছে সব ধরনের মাছের দাম। বিভিন্ন প্রজাতির মাছের দাম ১ মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষেরা। ক্রেতারা বলছেন, মাছের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) হিলিবাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
কথা হয় মাছ কিনতে আসা কালিগঞ্জ গ্রামের মো. রশিদা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাজারে প্রতিটি মাছের বেড়েছে। আমি নিম্ন আয়ের মানুষ। পাঙ্গাস দিয়ে পরিবারের মাছের চাহিদা মেটাই। কিন্তু ১ মাস আগে যে প্রতিকেজি পাঙ্গাস ছিল আকারভেদে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, এখন সেই মাছ কিনতে হচ্ছে আকারভেদে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে। আর ১২০ টাকা কেজি দরের সিলভারকার্প বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি দরে।’
আরেক ক্রেতা ইসমাইলপুর গ্রামের মো. আব্দুল লতিফ বলেন, ‘প্রতিদিনই মাছের দাম বাড়ছে কেজিতে ২০ থেকে ৩০-৪০ টাকা। ১ মাসের আগের ১৮০ কেজির রুই মাছ এখন বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজি দরে। টেংরা মাছ ছিল ৪০০ টাকা কেজি। আজ দেখি ৬০০ টাকা কেজি দাম হাঁকছে। কাতল মাছ ছিল ৩০০ টাকা কেজি। এখন ৪০০ টাকা কেজি। এভাবে প্রতিটি মাছের দাম কেজি ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এতে উচ্চবিত্তদের সমস্যা না হলেও মধ্য ও নিম্নবিত্তকে বিপাকে পড়তে হচ্ছে।’
মাছের আড়ৎদার মো. জাহিদুল ইসলাম ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘কিছুদিন ধরে শীতের কারণে বাজারে মাছের সরবরাহ অর্ধেকে নেমে এসেছে। শীতের কারণে জেলেরা পুকুরে নামতে যাচ্ছেন না। যদিও কিছু পুকুর মালিক বেশি টাকা দিয়ে জেলেদের দ্বারা পুকুর থেকে মাছ তুলে বাজারে আনছেন। তবে দাম বেশি। ১০০ টাকা কেজি দরের সিলভারকার্প মাছ কিনতেই পড়ছে ১২০ টাকা কেজি, ১৬০ টাকা কেজি দরের রুই মাছ কিনতে হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে, ১৪০ টাকা কেজি দরের পাঙ্গাস মাছ কিনতে হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে।’
জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমরা মাছ ব্যাসায়ীদের কাছে থেকে মাছ কিনতে কেজিতে ৫ টাকা লাভ রেখে খুচরা বিক্রেতরাদের কাছে বিক্রি করি। তারাও কেজি হয়তো ১০ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করছে। এ-কারণেই মাছের দাম বেড়েছে। তবে সরবরাহ আগের মতো হলে দামও কমে আসবে।’