ভারতীয় সংগীত পরিচালক এ আর রহমানের করা ‘বিকৃত সুরে’ গাওয়া জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে সরাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত রিটের শুনানির পর মূল সুরের গান ও এ আর রহমানের সুরে গওয়া গানটি মোবাইলে শুনে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (৯ জানুয়ার) এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী বায়েজীদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট নাঈম সরদার ও আইনজীবী সোলায়মান তুষার।
মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইভ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী বায়েজীদ হোসাইন, নাঈম সরদার, সোলায়মান তুষার, মাহদী জামান, শেখ মঈনুল করিম, আহমেদ ফারজাদ, শহিদুল ইসলাম, শাহেদ সিদ্দিকী, মো. আনাস মিয়া ও আইনজীবী মো. বাহাউদ্দিন আল ইমরান হাইকোর্টে বিষয়টি নিয়ে রিট পিটিশন দায়ের করেন।
রিটে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিটিআরসি ও কবি নজরুল ইনস্টিটিউটকে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়।
আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির আজ বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং ঐতিহাসিকভাবে সমৃদ্ধ ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটিতে অস্কারজয়ী ভারতীয় সংগীত পরিচালক এ আর রহমান নতুনভাবে সুরারোপ করেছেন। এটি ব্যবহার করা হয়েছে পিপ্পা নামের একটি হিন্দি চলচ্চিত্রে। এ আর রহমান গানের কথা ঠিক রাখলেও সুরের পরিবর্তন করেছেন। তাই এ আর রহমানের সুরে গাওয়া ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটি অপসারণ করতে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেননি।
এ আইনজীবী বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় কবি। তার গান আমাদের সকল প্রকার বিপ্লব ও আন্দোলনে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। তার গান ও কবিতা আমাদের জাতীয় সম্পদ। আমাদের জাতীয় কবি ও তার অমর কবিতার মূল সুর রক্ষায় সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থে রিট করা হয়। শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিটিআরসিকে এ আর রহমানের বিকৃত সুরে গাওয়া জাতীয় কবির ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটি অপসারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
/ঢাকা বিজনেস/এনই/