হঠাৎ করেই দিনাজপুরের হিলিতে সবধরনের চালের দাম বেড়েছে। কেজি প্রতি ৩ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগে শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) যে চাল বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকায়, তা-ই ৬ জানুয়ারি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। আর ৪৮ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। এতে চাপ ক্ষোভ বিরাজ করছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের মনে। তারা বলছেন, চালের দাম নিয়ে ‘চালবাজি’ করছেন একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। আর বিক্রেতারা বলছেন, ধানের দাম বেশি হওয়ায় বাজারে চালের দামও বেড়েছে।
হিলি বাজারে চাল কিনতে আসা ক্রেতা মো. ফজলুর রহমান বলেন, ‘এখন তো চালের ভরা মৌসুম। নতুন চালও বাজারে উঠেছে। এরপরও দাম কমছে না। বরং বাড়ছে। গেলো শনিবার চিকন জাতের চাল প্রতিকেজি ৪৮ টাকা দরে কিনেছি। আজ শনিবার ওই চালই কিনতে হলো ৫২ টাকা কেজি দরে। মোটা চালের দামও বেড়েছে।’
আরেক ক্রেতা ভ্যান চালক মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাই। প্রতিদিন আমার বাড়িতে ২ কেজি চাল লাগে। সারাদিন যা আয়, তা দিয়ে চালসহ অন্যান্য বাজার করি। গত সপ্তাহে ২ কেজি মোটাজাতের চাল কিনি ৪৫ টাকা কেজি দরে। আজ সকালে বাজারে এসে দেখি সেই চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩ টাকা করে। বাধ্য হয়ে ৪৮ টাকা কেজি দরেই ২ কেজি চাল কিনলাম। চালের দাম নিয়ে এভাবে চালবাজি চলতে থাকলে সংসার চালাতেই হিমশিম খাবে।’
চাল বিক্রেতা আব্দুল জলিল ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘হঠাৎ করেই চালের দাম বেড়ে গেছে। পাইকারি চাল বিক্রেতারা আমাদের বলছেন, ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় নাকি চালের দাম বেড়েছে।’
আব্দুল জলিল আরও বলেন, ‘গত সপ্তাহে মোটা জাতের চাল ৪৩ টাকা কেজি দরে কিনে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি করি। আর গতকাল (শুক্রবার) মোকাম থেকে মোট জাতের চাল ৪৬ টাকা কেজি দরে কিনে আজ ৪৮ টাকায় বিক্রি করছি। আর চিকন জাতের ৪৬ টাকা কেজি দরে কিনে ৫০ টাকায় বিক্রি করি। এখন চিকন জাতের চাল কিনতেই পড়ছে প্রকারভেদে ৪৮ থেকে ৪৯ টাকা। আর বিক্রি করছি ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি দরে। এখানে আমাদের কী করার আছে ? আমরা তো লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে পারি না। তবে বাজারে চালের সরবরাহ বাড়লে দাম হয়তো কিছুটা কমতে পারে।’
/ঢাকা বিজনেস/