বিএনপির নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘পিছু হটে তারা এখন মুখে নির্বাচন বর্জনের কথা বলছে। আর ডেভিড বার্গম্যানসহ কিছু বিদেশি এজেন্ট নিয়োগ করেছে।’ বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির নির্বাচনবিরোধী প্রচারণা এবং নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা কার্যত জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই তারা এতদিন নির্বাচন প্রতিহত করার কথা বলে এসেছিল। কিন্তু এখন সেখান থেকে সরে এসে নির্বাচন পরিহার বা বর্জন করার কথা বলছে। অর্থাৎ জনগণ যেভাবে নির্বাচনে সাড়া দিয়েছে, সে জন্য বিএনপি পিছু হটেছে। সেইসঙ্গে তারা এখন লবিস্ট নিয়োগ করে বিদেশে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিবন্ধ লেখাচ্ছে।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়া নিজের নামে নিবন্ধ লেখেছিলেন দেশের বিরুদ্ধে। এটি নতুন কোনো কিছু নয়। বিএনপি সবই পারে। কংগ্রেসম্যানদের সই জাল করে নিবন্ধ দিয়েছিলো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টা দেশে নিয়ে এসেছিল, যিনি এখন জেলখানায় আছেন। আবার ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র সঙ্গে কথা হয়েছে, অমিত শাহ ফোন করেছেন বলে ভুয়া প্রচারও করেছিল বিএনপি। এভাবে বিএনপি একটি জালিয়াত দলে রূপান্তরিত হয়েছে।’
এ সময় ব্রাসেলসভিত্তিক সংস্থা 'ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপে'র সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে দেওয়া মন্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করলে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘ব্রাসেলসে বসে রিপোর্ট লেখা খুব সহজ। তারা রিপোর্টটা নিশ্চয়ই আরও ২০-২৫ দিন বা ১ মাস আগে লিখেছিল। তারা যদি দেশে এসে গ্রামে-গঞ্জে ঘুরে যেতো, গত ২০ দিনে দেশ যে ব্যাপকভাবে নির্বাচনমুখী, কী পরিমাণ উৎসাহ উদ্দীপনা; এটি যদি দেখতে পেতো, তাহলে রিপোর্টটা সংশোধন করে নিতো। আশা করি তারা রিপোর্টটা পরে সংশোধন করে নেবে।’
বামজোট নির্বাচন বর্জনের কর্মসূচি দেবে এমন বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাম ভাইদের আমি খুব সম্মান করি। কারণ বাম ভাইয়েরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, প্রগতিশীল শক্তি। আমার মধ্যেও কিছু বাম চিন্তা-ভাবনা আছে। সমাজতন্ত্র আমাদের দলেরও অন্যতম মূল স্তম্ভ। এ জন্য বাম ভাইদের অনেক বিষয়কে আমি সমর্থনও করি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বাম ভাইদের কোনো ভোট নাই। তারা ভোটে কোনো মানুষের সমর্থন পায় না। ঢাকা শহরে তো কেউ কেউ মেয়র নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল, প্রায় ৩৭ লাখ ভোটারের এই ঢাকা শহরে তাদের পক্ষে ভোটের সংখ্যা হাজার বা দু’হাজারের অঙ্ক পার হয়নি। তাদের ভোট নাই বলে তারা ভোট বর্জন করুক আর না করুক এতে নির্বাচনে কোনো প্রভাব নাই।’
ঢাকা বিজনেস/এনই