০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শনিবার



হিলিতে বাড়ছে শীত, ধুম লেগেছে মোজা কেনার

আনোয়ার হোসেন বুলু, হিলি (দিনাজপুর) || ০৪ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৭:৩১ এএম
হিলিতে বাড়ছে শীত, ধুম লেগেছে মোজা কেনার


শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওায়ায় দিনাজপুরের হিলিতে মোজার চাহিদা বেড়েছে। হাতে-পায়ে শীত নিবারণের জন্য শীতার্ত মানুষ থেকে অটোচালক ও বাইক চালকেরা হাত-পায়ের মোজা কিনছেন। স্থায়ী পোশাকের দোকান ছাড়াও ভাসমান বিক্রেতাদের দোকানেও মোজা কেনার ধুম লেগেছে। ক্রেতারা বলছেন, কয়েকদিনের ঘনকুয়াশার কারণে শীতের তীব্রতা বড়েছে। তাই তারা মোজা কিনছেন। আর বিক্রেতারা বলছেন, শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বিক্রিও মোটামুটি ভালো। বুধবার (৩ জানুয়ারি) মোজা ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। 

হাতমোজা  কিনতে আসা বাইকচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাকে প্রতিদিন বাইক চালিয়ে অফিসে যেতে হয়। পায়ের জন্য মোজা আছে। কিন্তু কয়েকদিন ধরে হিমেল হাওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। বাইক চালাতে হাতে খুব ঠাণ্ডা লাগে। তাই হাতমোজা কিনতে এসেছি। শীতের সময় হাতমোজা ছাড়া বাইক চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।’ 

পায়ের মোজা কিনতে আসা ভ্যানচালক মো. আজিজার রহমান বলেন, ‘আমি ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাই। ভ্যান চালিয়েই আমার সংসার চলে।’ তিনি আরও বলেন, ‘খুব সকালে ভ্যান নিয়ে বের হই। তখন পায়ে খুব ঠাণ্ডা লাগে। তাই ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা পেতে ফেরিওয়ালার কাছ থেকে কম দামে মোজা কিনলাম। একজোড়া পায়ের মোজা কিনলাম ৬০ টাকা দিয়ে। আর বাজারের দোকানে কিনতে গেলে ১০০ থেকে ১২০ টাকা লাগতো। শীত শেষে তো আর মোজার দরকার হয় না। তাই ফেরিওয়ালার কাছ থেকে বাজারের চেয়ে অর্ধেক দামে একজোড়া মোজা কিনলাম।’ 

মোজা বিক্রেতা মো. হাফিজুর রহমান ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘আমার বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে। শীতের মৌসুমে বিভিন্ন জায়গায় ফেরি করি হাতের মোজা, পায়ের মোজা বিক্রি করি।’ 

হাফিজুর রহমান আরও বলেন, ‘গোবিন্দগঞ্জে মোজাপল্লী আছে। সেখানে নারী-পুরুষ মোজা তৈরি করে। আমি তাদের কাছ থেকে মোজা কিনে ফেরি করে বিক্রি করি। প্রতিজোড়া মোজায় ৮ টাকা থেকে ১০ টাকা লাভ থাকে। এক সপ্তাহের মাল নিয়ে বের হই। বিক্রি শেষ হলে আবার ওই পল্লী থেকে মোজা কিনে নিয়ে আসি।’

ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন