আগামী রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকার বাড়তি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এতে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে পণ্যের মজুত ও সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা।
এ লক্ষ্যে নিত্যপণ্যের মজুত, আমদানি এবং এলসির প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তথ্য সংগ্রহের পর পণ্যভিত্তিক সরবরাহ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে এসব তথ্যের আলোকে মূল্য ও সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে সভা করবে।
এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ সোমবার (১ জানুয়ারি) গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য রমজান মাসের বাড়তি চাহিদার কারণে বাজারে যেন পণ্যের কোনো সঙ্কট তৈরি না হয়। একইসঙ্গে মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আমরা পণ্যের মজুত, আমদানি এবং এলসির তথ্য সংগ্রহ করছি এবং নির্বাচনের পরপরই স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সভা করবো।’
তিনি বলেন, ‘নিত্যপণ্যের আমদানিতে যেন কোন সমস্যা তৈরি না হয় সেদিকে বাড়তি মনোযোগ দেওয়া হবে। মজুতকৃত পণ্য বাজারে সঠিকভাবে সরবরাহ ও মূল্য যাচাই করতে বিশেষ তদারকি করা হবে। এবার কেউ পণ্যের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরির চেষ্টা করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সাধারণত প্রতিবছর রমজান মাসকে সামনে রেখে চাল, গম, ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ, শুকনা মরিচ, ডিম, খেজুরসহ নিত্যপণ্যের সরবরাহ ও মূল্য তদারকিতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে।
/এম/