একসময় গ্রামে গ্রামে কিশোরদের দেখা যেতো গরু-মহিষ-ছাগল-ভেড়া চরানোর কাজে। তারাই রাখাল হিসেবে কাজ করতো গৃহস্থ বাড়িতে। বর্তমানে সেই দৃশ্য তেমন একটা দেখা যায় না। তবে, দিনাজপুরের গ্রামাঞ্চলে বয়স্ক রাখালদের দেখা যায়। তারা বলছেন, এই বয়সে অন্য কোনো কাজ করতে না পেরে বাধ্য হয়েই রাখালের কাজ বেছে নিয়েছেন।
বয়স্ক রাখাল মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘আমি এই বয়সে অন্য কোনো কাজ করতে পারি না। তাই এই গ্রামের আফছার উদ্দিনের বাড়িতে গরু চরানোর কাজ করি। এখন তো মাঠ ফাঁকা। তাই সকালে গরু নিয়ে এসে মাঠে ছেড়ে দেই। দুপুরে খাবারের সময় বাড়িতে নিয়ে যাই। নিজে খাবার খাই। গরুকে পানি খাওয়াই। আবার গরু নিয়ে মাঠে ছেড়ে দেই, সন্ধ্যার আগে গরু নিয়ে বাড়ি ফিরি।’
মজিবর রহমান আরও বলেন, ‘তবে সমস্যা হয়, যখন মাঠে ফসল থাকে। তখন গরুগুলোকে সড়কের পাশে বেঁধে রাখতে হয়। মাথায় ছাতা নিয়ে বসে থাকতে হয়। গরু যেন কারও ফসল নষ্ট করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হয়। আমি আফছারের বাড়িতে মাসচুক্তিতে কাজ করি। খাওয়া-দাওয়া তার বাড়িতেই করি।’
মো. নয়ন মিয়া বলেন, ‘আমি নিজের গরু নিজেই মাঠে চরাই। এখন শুধু মাঠে গরু ছেড়ে দিয়ে বসে থাকি। গরু যেন দূরে চলে না যায়। তবে শীতের কারণে সকালে সৃর্য না ওঠা পর্যন্ত গরু মাঠে নিয়ে আসা যায় না। বাড়িতেই সকালের খাবার দিতে হয়। দুপুরের পর গরুগুলো মাঠে ছেড়ে দেই। সন্ধ্যার আগে গরু নিয়ে বাড়ি ফিরি।’
চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘বর্তমানে কিছু বয়স্করা ব্যক্তি রাখালের কাজ করেন। তারা অন্য কোনো কাজ করতে না পারায় গরু চরানোর কাজ করেন। অনেকের আবার গরু চরানো নেশায় পরিণত হয়েছে। তারা বাড়িতে বসে থাকতে পারেন না। অনেকে নিজের গরু মাঠে ছেড়ে দিয়ে বসে থাকেন।’
ঢাকা বিজনেস/এনই/