২২ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার



ক্যাম্পাস
প্রিন্ট

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে অনিয়মের অভিযোগ

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি || ১৮ জানুয়ারী, ২০২৩, ০১:০১ পিএম
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে অনিয়মের অভিযোগ


গুচ্ছভুক্ত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ম ধাপের শূন্য আসনে ভর্তির জন্য প্রকাশিত ফলাফল নিয়ে উঠেছে নানা অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগ। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, মেধাতালিকায় পেছনে থাকা অনেকেই ভর্তির জন্য সুযোগ পেলেও মেধা তালিকায় এগিয়ে থাকা অনেক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাননি। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ভর্তিইচ্ছুক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

শিক্ষার্থীদের দাবি, বিজ্ঞপ্তি অনুসারে সব ধরনের শর্ত পূরণ করে সশরীরে উপস্থিত থেকে এডমিট কার্ডের ফটোকপি এবং সিগনেচার দেওয়া সত্ত্বেও ভর্তির সুযোগ পাননি বলে অভিযোগ করেছেন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। এছাড়া প্রকাশিত ফলাফলের পিডিএফ ফাইলে সাবজেক্ট পেলেও ওয়েবসাইটে এখনো ওয়েটিং দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এ ইউনিটের ৯২৩ মেধা তালিকায় থাকা মেহেদী হাসান সাগর নামের এক ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে ভর্তিইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা নিজেদের দাবি নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত ও পুনরায় ফলাফল প্রকাশের দাবিতে আন্দোলন করছেন।

মেধাতালিকায় ১২৩৯ সিরিয়ালে থাকা ভর্তিইচ্ছুক শিক্ষার্থী লামিয়া ইসলাম চাঁদনী বলেন, ‘বি ইউনিটে ১২৯২ পর্যন্ত নিয়েছে। সব শর্ত পূরণ করেও আমাকে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়নি। এটা রীতিমতো জুলুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘন। আমি আমার ন্যায্য অধিকার ফিরে চাই।’

ভুক্তভোগী ভর্তিইচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী রায়হান রাসেল বলেন, ‘গুচ্ছ মেধাতালিকায় বি ইউনিটে আমার পজিশন ছিল ১১৮১। আমার সাজেক্ট পছন্দের তালিকায় ফোকলোর বিভাগ ছিল, অথচ মেধাতালিকায় আমার পেছনে ১২৯২ মেধাক্রমে থেকে ফোকলোর বিভাগ পেলেও আমাকে কোনো বিভাগে মনোনীত করা হয়নি। আমি রিপোর্টিংয়ের সময় সব ধরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। আমি ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত রেখে নতুন করে ফলাফল প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি। অথবা আমাকে রিপোর্টিংয়ের নথি দেখানো হোক।’

সি ইউনিটের ৬৬১ মেধা তালিকায় থাকা উদয় হাসান রাজ বলেন, ‘আমার সঙ্গে অবিচার করা হয়েছে। সব শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও আমাকে ভর্তির সুযোগ না দিয়ে আমার পরে মেরিটে থাকা অনেককেই ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আমি পুনরায় ফলাফল প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি। এ রকম অনেক অনেক শিক্ষার্থীই ভর্তি প্রক্রিয়ার সচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।’

পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীরের কাছে গেলে তিনি বলেন, ‘ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো ভর্তিইচ্ছুক শিক্ষার্থীর সংশয় বা অভিযোগ থাকলে গুচ্ছের নিয়ম অনুযায়ী ২০০০ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে ব্যাংক রশিদসহ আবেদন করতে হবে।কেউ যোগ্য হলে অবশ্যই ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে।’

আসলাম/এম



আরো পড়ুন