২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



শীতে কাঁপছে টাঙ্গাইল, স্থবির জনজীবন

আব্দুল্লাহ আল নোমান, টাঙ্গাইল || ১৮ জানুয়ারী, ২০২৪, ০২:০১ পিএম
শীতে কাঁপছে টাঙ্গাইল, স্থবির জনজীবন কুয়াশায় ঢাকা টাঙ্গাইল (ছবি: ঢাকা বিজনেস)


টাঙ্গাইলে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলছে। তীব্র কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ার কারণে জনজীবনে  স্থবির হয়ে পড়েছে। জেলায় চলতি বছরের সর্ব নিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি)। এ দিন জেলায় সর্ব নিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  

জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে টাঙ্গাইলের তাপমাত্রা কমেছে। বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। সঙ্গে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ ভাগ। 

টাঙ্গাইল পৌরসভার আকুর টাকুর পাড়া, কাগমারা, এনায়েতপুর, বাঘিল ইউনিয়নের দুরিয়াবাড়ী, ধরেরবাড়ী, টাবলাপাড়া, যুগনী, দাইন্যা ইউনিয়নের বাউসা, বাইমাইল ও পোড়াবাড়ী ইউনিয়নের খাড়জানাসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি এলাকাতেই উত্তরের তীব্র ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। শীতের কারণে অনেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। আবার কেউ কেউ গরম পোশা পরে নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন। 

শহরের হাজেরা ঘাট এলাকার রিকশাচালক আকবর আলীর সঙ্গে পৌরউদ্যান এলাকায় কথা হয়।  তিনি বলেন, ‘রাস্তায় যাত্রী সংখ্যা কম। আগে দৈনিক ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা আয় হলেও গত কয়েকদিন ধরে  ৫০০ টাকার বেশি হচ্ছে না। এতে  সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।’

প্রেসক্লাবের নিচে জুতা সেলাই কাজ করা শিবনাথ বলেন, ‘শহরের লোকজন নাই। আয় রোজগারো তেমন একটা নাই। শীতে বাইরে বসে কাজ করতে অনেক কষ্ট হয়। তবুও পেটের দায়ে এসেছি। কিন্তু লোকজন কম আসায় কাজ হচ্ছে না।’

ঘারিন্দা এলাকার কৃষক হুমায়ুন বলেন, ‘কয়েক দিন পর পুরোদমে বোরো মৌসুম শুরু হবে। তার আগে ক্ষেতে কিছু কাজ থাকে। শীতের কারণে সেই কাজটুকুও করতে পারছি না। দুই জন কামলা নিছি। কিন্তু শীতের কারণে তাদের কাজ তেমন একটা হচ্ছে না।’

টাঙ্গাইল আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইনচার্জ জামাল উদ্দিন বলেন, ‘দিন দিন টাঙ্গাইলের তাপমাত্রা কমছে। সামনে আরও কমবে।’

জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম বলেন, ‘জেলায় পর্যাপ্ত  কম্বল মজুদ রয়েছে। প্রতিদিনই দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে জেলার সব উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দ দেওয়া কম্বল বিতরণ করা শেষ হয়েছে। শীত নিবারণে আমাদের শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ অব্যাহত থাকবে।’ 



আরো পড়ুন