২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



মওলানা ভাসানীর ১৪৩তম জন্মবার্ষিকী পালন

টাঙ্গাইল সংবাদদাতা || ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১২:১২ পিএম
মওলানা ভাসানীর ১৪৩তম জন্মবার্ষিকী পালন


বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় টাঙ্গাইলে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪৩তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মজলুম জননেতার সমাধিস্থলে মানুষের ঢল নামে। ফুলে ফুলে ঢেকে যায় প্রাঙ্গণ।

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে মওলানা ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ ভাসানী), ভাসানী পরিষদ, মাভাবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, মওলানা ভাসানী স্মৃতি বাস্তবায়ন সংগ্রামী পরিষদের পক্ষ থেকেও পৃথক পৃথকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মাজার জিয়ারত করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, ১৮৮০ সালের এই দিনে সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সিরাজগঞ্জে তার জন্ম হলেও জীবনের বেশিরভাগ সময় তিনি টাঙ্গাইলে অতিবাহিত করেন। টাঙ্গাইলের সন্তোষে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন তিনি। সন্তোষে তার নামে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। 

মওলানা ভাসানীর পিতার নাম হাজী শারাফত আলী। তার ডাক নাম ছিল চেগা মিয়া। ১৮৯৭ সালে পীর সৈয়দ নাসিরুদ্দীনের সঙ্গে তিনি আসাম যান। ১৯০৩ সালে সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। ইসলামিক শিক্ষার উদ্দেশ্যে ১৯০৭ সালে দেওবন্দ যান। দুই বছর সেখানে অধ্যয়ন করে আসামে ফিরে আসেন।

১৯১৭ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ময়মনসিংহ সফরে গেলে তার ভাষণ শুনে ভাসানী অনুপ্রাণিত হন। ১৯১৯ সালে কংগ্রেসে যোগদান করে খেলাফত আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ১০ মাস কারাভোগ করেন।

১৯২৩ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন স্বরাজ্য পার্টি গঠন করলে ভাসানী সেই দল সংগঠিত করার ব্যাপারে ভূমিকা পালন করেন। ১৯২৬ সালে আসামে প্রথম কৃষক-প্রজা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটান। ১৯২৯-এ আসামের ধুবড়ী জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাসানচরে প্রথম কৃষক সম্মেলন আয়োজন করেন। এখান থেকে তার নামের সঙ্গে যুক্ত হয় ‘ভাসানী’। 

ভাসানী ছিলেন বিংশশতকী ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম তৃণমূল রাজনীতিবিদ ও গণআন্দোলনের নায়ক, যিনি জীবদ্দশায় ১৯৪৭-এ সৃষ্ট পাকিস্তান ও ১৯৭১-এ প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষের কাছে ‘মজলুম জননেতা’ হিসাবে সমধিক পরিচিত। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে অন্যতম। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।

১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই দেশবরেণ্য নেতা মৃত্যুবরণ করেন। তাকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে দাফন করা হয়। 

ঢাকা বিজনেস/এমএ/



আরো পড়ুন