শাহাদত হোসেন শাদো। দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বাগদোড় গ্রামের বাসিন্দা। ইতোমধ্যে ছাগলের খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন তিনি। নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেছেন ছাগলের খামার। খামারে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ছাগল। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানান, তারা শাদোর খামারের সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখেন।
খামারি শাদো বলেন, আমি ২০১৬ সালে ৬০টি মা ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল দিয়ে খামার শুরু করি। এরপর নাটোর থেকে ফেন্সি, তোতা, বিটন জাতের ছাগল কিনে আনি। শুরু করি বাণিজ্যিকভাবে ছাগল পালন। বাড়ির ভেতরেই তৈরি করেছি গ্রিল দিয়ে ঘেরা শেড। ছাগলের খাবার, গোসলসহ যত্ন নেওয়ার জন্য কর্মচারী রেখেছি। নিজেও সময় দেই। বর্তমানে আমার খামারে ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের আর কোনো ছাগল নেই। এখন শুধু আছে হরিয়ানা, তোতা ও বিটন জাতের ৫০টি ছাগল।
তিনি বলেন, প্রথম দিকে একটু ঝামেলা মনে হলেও এখন আমি ছাগলপ্রেমী হয়ে উঠেছি। সারাদিন এগুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকি। ছাগল বাচ্চা দিলে আরও বেশি যত্ন নিতে হয়। অনেকে ছাগলের বাচ্চা কিনে নিয়ে যান। কর্মচারীর বেতন, ছাগলের খাবার খরচ বাদ দিয়ে বছরে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করি।
খামারের কর্মচারী আরিফুর রহমান বলেন, আমি কয়েক বছর ধরে এই খামারে কাজ করছি। প্রতিদিন সকালে ছাগলগুলোকে খড়, ভূসি, খৈল, দুপুরে ঘাস , পানি ও রাতে ‘ব্রাণের’ সঙ্গে চিটাগুড় মেখে খাওয়াতে হয়। গরমের সময় গোসল করাতে হয়। প্রতিদিন সকালে ছাগলের মলমূত্র পরিস্কার করি। বিকালে বাড়ির সামনের বাগানে ছাগলগুলো ছেড়ে দিয়ে বসি থাকি।
হাকিমপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী মাহাবুবুর রহমান ঢাকা বিজনেসকে বলেন, হাকিমপুর উপজেলায় ৪৫টি ছাগলের খামার রয়েছে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নিয়মিত ছাগলের খামারগুলো দেখভাল করেন। ছাগলের কোনো খামারে বড় ধরনের অসুখ-বিসুখ দেখা দিলে আমি নিজেই গিয়ে ছাগলের ওষুধের ব্যবস্থাপত্র লিখে দেই। সরকারিভাবে ওষুধ সরবরাহ করা হয়। প্রতিটি খামারিই আমার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন।
ঢাকা বিজনেস/এইচ