আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যু হার ৭০ শতাংশ কমাতে হবে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।তিনি বলেন, ‘মা ও শিশু মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে ইতোমধ্যেই ৫০০টি সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস শুরু হয়েছে।’ বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব কনভেনশন হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এখনো ৬৫ হাজার শিশু ও সাড়ে ৪ হাজার মা বছরে মাতৃত্বকালীন মারা যায়। এই সংখ্যা অনেক। যদিও গত বছরের তুলনায় এবার আমরা অন্তত ৫ ভাগ মা ও শিশু মৃত্যু হার কমাতে সক্ষম হয়েছি। তবে মা ও শিশু মৃত্যু হার বিগত বিএনপি-জামাত সরকারের তুলনায় এখন অর্ধেকের বেশি কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। তবুও এখনো বছরে এত মৃত্যু কোনভাবেই কাম্য নয়। এখন আমাদের আগামীর লক্ষ্য পূরণ করতে হবে। এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করতে হবে, মায়েদের হোম ডেলিভারির পরিবর্তে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির দিকে মনোযোগী হতে হবে ও সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র সমূহকে ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস ব্যবস্থায় কাজ করতে হবে।
বর্তমানে প্রাইভেট স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে আশংকাজনক হারে সিজারিয়ান ব্যবস্থা বেড়ে গেছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এখন সিজার করে বাচ্চা নেবার হার আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিনা কারণেই অনেক মায়েরাও সিজার করে বাচ্চা নিতে আগ্রহী থাকেন। এটি কাম্য নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘একবার সিজার করে বাচ্চা নিলে ঐ মায়ের পরবর্তীতে বাচ্চা ডেলিভারিতে সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও সারা জীবনের জন্য অন্যান্য সমস্যা নিয়ে চলতে হতে পারে। এটি এভাবে চলতে পারে না। দেশে হোম ডেলিভারি এবং সিজার করে বাচ্চা নেয়া অর্ধেকের বেশি কমাতে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।’
ঢাকা বিজনেস /এমএ/