উদোম চর
উদোম চরের যোনি বয়ে ছুটে চলে নৌকা
মাছের ঘাড়ে নৌকা চেপে স্বপ্ন দেখে মাঝি
নৌকার গতিপথ থমকে দেয় লণ্ডভণ্ড ঝড়
সাগর উতলায়, যেমন উতলায় ভাতের মার
মাঝীপাড়ার সেই কিশোরীর দোচালা ঘরের
চালের মতো স্তন দেখে, পথ হারায় মাঝি—
তবুও ভালোবাসে না দুপুরে আকাশে উড়তে থাকা
একা চিল, কারণ চিলের ধর্ম—
একবার সঙ্গী হারালে, খুজে না অন্য কোনো বর্ম
কখনও সে ফেরে না আর কোলাহলে,
তেমনি আমি তোমাকে হারিয়েছি,
হারিয়েছি জীবনের গতিপথ
আমি এখন সন্ধ্যার মতো একা
মরুভূমিতে পানি দেখি, নিছক-অনর্থক।
ইশ্বরী থাকে মোহাম্মদপুরে
দেখ, আমি সহসাই বলে উঠতে পারি
আমি ভালোবাসি,
হুট করে তোর হাত ধরে চলে যাই
লালমাটিয়ায় ওই রাস্তায়—
তোর অনিচ্ছা থাকা সত্বেও তোকে
নিয়ে যাই ধানমণ্ডি লেকে
তুই গোস্সা করে থাকিস
বলিস, বের হবো না আজ
কিন্তু লাভ হয়?
সেই তো বের হোস
আমার সাথে রিক্সায় চড়িস
ঘুরিস, ফিরিস
রেস্তোরাঁয় যাস, আমার পছন্দের খাবার
যেগুলো তোর অপছন্দের সেগুলোও তো খাস
তবে এত বাহানা কেন?
বাহানা ছাড়া কি ভালো লাগে না তোর?
তুই কি দাম্ভিক, অহংকারী?
স্বার্থপর? অনেকটা আমার ইশ্বরের মতো?
গোপনে বকুলের মালা শুকাস,
তোর অশ্রুজলে ভেজা মালা,
নাকি ভয় পাস আমাকে ভালোবেসে ফেলার?
ঈশ্বর—প্রেম না বন্ধুত্ব?
তোর চোখ সমুদ্র
আমি তাকিয়ে থাকি
একবুক তৃষ্ণা নিয়ে।
আমি মরুভূমি, তুই পানি
তোকে পাওয়ার জন্য
ছটফট করে আমার মন।
কিন্তু কাছে যেতেই উধাও
মরিচীকার মতো।
নষ্ট মগজ গলে পরতে থাকে চেতনা—
তোকে পাওয়া হয়না আর
অজানা ভালোলাগা থেকে
আমি আবার কাছে যাই
ঈশ্বর ভ্রূ কুঁচকে তাকায়
বলে ওঠে,
সাবধান! প্রেম না, তোমায় দিলাম বন্ধু—
বন্ধুত্বের অধিকার নিয়ে কাছে যাই
তৃষ্ণা নিবারণ করি।
সুউচ্চে চিৎকার দিয়ে বলি
ঈশ্বর প্রেম না সদা সত্য
বন্ধুত্ব।