যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ৪র্থ সমাবর্তনের ফি ও সনদ উত্তোলন ফি পুনর্বিবেচনার দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সমাবর্তন ফি, মূল সনদ এবং সাময়িক সনদ উত্তোলন ফি ২০০০/-, ৫০০/- এবং ৩০০/- টাকা পুনর্নির্ধারণের দাবিতে রোববার (১৫ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দিনব্যাপী গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করা হয়। গণস্বাক্ষর শেষে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তরে জমা দিয়ে সমাবর্তন ফি পুনর্বিবেচনা করতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেধে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
চতুর্থ সমাবর্তনের তারিখ ও ফি ঘোষণার সময় থেকে এসব ফি কমানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ৮৩৫ জন ছাত্রছাত্রীর স্বাক্ষর সম্বলিত দুইটি আবেদনপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে ৷ আগামী ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখের মধ্যে সমাবর্তন ফি, সাময়িক ও মূল সনদ উত্তোলন ফি পুনর্বিবেচনা করে ছাত্রছাত্রীদের দাবি মানা না হলে ৪র্থ সমাবর্তন বয়কট করা হতে পারে বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিপিটি বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী মো. আল জুবায়ের রনি বলেন, ‘আসন্ন সমাবর্তন নিবন্ধন ফি অতিরিক্ত, অযৌক্তিক, অসহনশীল ও অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং ব্যয়বহুলও বটে। এত উচ্চ নিবন্ধন ফি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করা বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর পক্ষে অসম্ভব। অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বিবেচনা করে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের জন্য ২০০০/-, টাকা ও ১০০০/- টাকা এবং মূল সনদ ও সাময়িক সনদ উত্তোলন ফি বাবদ যথাক্রমে ৫০০/- এবং ৩০০/- টাকা পুনর্নির্ধারণের দাবিতে যবিপ্রবির প্রাক্তন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি ও গণস্বাক্ষর জমা দেই। আগামী দু’দিনের মধ্যে পুনর্বিবেচনা করে ছাত্রছাত্রীদের দাবি মানা না হলে যবিপ্রবির প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পক্ষে ৪র্থ সমাবর্তন বয়কট করা ছাড়া আর উপায় থাকবে না।’
উল্লেখ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে চতুর্থ সমাবর্তনের সমাবর্তন ফি গত ২১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে ৫ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৪ হাজার টাকা করা হয়।
মিষ্টি/এম