২৯ জুন ২০২৪, শনিবার



হিলিতে খোলাবাজারে স্বল্প আয়ের মানুষের ভিড়

আনোয়ার হোসেন বুলু, হিলি (দিনাজপুর) || ১৫ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৫:৩১ পিএম
হিলিতে খোলাবাজারে স্বল্প আয়ের মানুষের ভিড়


রোববার সকাল সাড়ে ৯ টা। দিনাজপুরের হিলি বাজারের খোলাবাজারে (ওএমএস)-এর একটি চাল বিক্রয় কেন্দ্রের সামনে শীত উপক্ষো করে সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে স্বল্প আয়ের মানুষ। ডিলার সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে চাল নিয়ে এলে, তারা কিনবেন।  

চাল নিতে আসা ক্রেতারা বলছেন, বাজারের চেয়ে কম দামে পাওয়া যায়। তাই চাল নিতে তারা এখানে অপেক্ষা করছেন।   

খোলাবাজারে চাল কিনতে আসা হালিমা বেওয়া বলেন, ‘স্বামী মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। দুই মেয়ে বিয়ে দিয়েছি। একমাত্র ছেলে, ছেলের বউ আর নাতিদের নিয়ে আমার সংসার। ছেলে রাজমিস্ত্রীর শ্রমিকের কাজ করে। প্রতিদিন দুই কেজি চাল লাগে। ছেলের মজুরি দিয়ে এই বাজারে চলা যায় না। বাজার থেকে চালসহ অন্যান্য খরচ করতে গেলে সমস্যা হয়। বাজারে ৫০ টাকার কম কোনো চাল নেই। তাই খোলা বাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল কিনতে এসেছি। এতে কিছু টাকা সাশ্রয় হবে।’

খোলাবাজারে চাল নিতে আসা মো. আবুল কাসেম বলেন, ‘আমি বাজারে সবজির দোকান করি। যা লাভ হয় তা দিয়ে বাজারে চাল কিনতে গেলে সংসার চালানো কষ্ট হয়। তাই খোলাবাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল কিনতে এসেছি। সকাল থেকে অপেক্ষা করছি। চাল নিয়ে নিজের দোকান খুলবো।’

ডিলার শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমরা ব্যাংক চাল করার পর খাদ্যগুদাম থেকে চাল উত্তোলন করি। তারপর সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে ১০ টার মধ্যে চাল বিক্রি শুরু করি।’

হিলি সরকারি খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) জোসেফ হাসদা ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘হিলিতে পৌর এলাকায় ৩টি পয়েন্টে প্রতিদিন (ছুটির দিন ছাড়া) এক টন করে চাল ডিলারদের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। একজন  অফিসার নিয়মিত চাল বিক্রি কার্যক্রম তদারকি করেন।’

জোসেফ হাসদা আরও বলেন, ‘২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত খোলাবাজারে চাল বিক্রি কথা ছিল। কিন্তু বন্ধের কোনো নির্দেশ না আসায় খোলাবাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি অব্যাহত আছে। জনপ্রতি ৫ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন। বন্ধের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত খোলাবাজারে ডিলারদের মাধ্যমে চাল বিক্রি চালু থাকবে।’

/ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন