তিন দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ টাকা। তিন দিন আগে শুক্রবার (২৪ মে) প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর সোমবার (২৭ মে) প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে।
পেঁয়াজ ক্রেতা মো. মোকলেছার রহমান বলেন, ‘আমি গেলো শুক্রবার প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা দরে কিনি। আর আজ (সোমবার) ৭০ টাকা কেজি দরে কিনতে হলো। মাত্র ৩ দিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ১০ টাকা করে বেড়েছে।’
আরেক ক্রেতা মো. আফজাল হোসেন বলেন, ‘কয়েকদিন আগে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়। শুনেছি একদিন মাত্র ৩০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তখন পেঁয়াজের দাম কমেছিল। দেশি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আজ আবার কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’
স্থানীয় পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরুর পর আমরা ভেবেছিলাম পেঁয়াজের দাম কমে আসবে। কিন্তু দেশি পেঁয়াজ আর ভারতীয় পেঁয়াজের দাম সমান হওয়ায় আমদানিকারকেরা আর পেঁয়াজ আমদানি করছেন না।’
সাদ্দাম হোসেন আরও বলেন, ‘বাজারেও দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ আগের চেয়ে কমে গেছে। পেঁয়াজ চাষিরা কম পেঁয়াজ বাজারে আনছেন। তাই আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তিন দিন আগে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৫৫ টাকা কেজি দরে কিনে ৬০ টাকায় বিক্রি করেছি। গতকাল রোববার (২৬ মে) পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে ৬৫ টাকা দরে। আর আজ (২৭ মে) প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৭০ টাকা দরে।’
আমদানিকার প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসআর এন্টার প্রাইজের প্রতিনিধি আহম্মেদ সরকার বলেন, ‘হঠাৎ দেশে পেঁয়াজের বাজার বেড়ে যাওয়ায় সাড়ে ৫ মাস পর গত ১৪ মে ভারত থেকে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করি।’
আহম্মেদ সরকার আরও বলেন, ‘পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারত সরকার ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম পড়ে ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা টাকা। যা দেশি পেঁয়াজের সমান। ক্রেতা না থাকায় সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল না। শেষে কেনা দামে বিক্রি করতে বাধ্য হই। তারপর থেকে হিলিবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ আছে।’
পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনংযোগ কর্মকর্তা মো. সোহরাব ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘গত ১৪ মে হিলি বন্দর দিয়ে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। এরপর আর কোনো পেঁয়াজ আমদানি করা হয়নি।
ঢাকা বিজনেস/এনই