আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ইঁদুরেরর ভ্রূণ বিকশিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাপানের বিজ্ঞানীরা। তারা জানান, প্রথম এই গবেষণায় এটি স্বাভাবিকভাবে বিকশিত হয়েছে। এটি ইঙ্গিত করে মানুষের পক্ষে মহাকাশে পুনরুৎপাাদন করা সম্ভব হতে পারে। শনিবার (২৮ অক্টোবর) ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় গবেষণা ইনস্টিটিউট রিকেন এক যৌথ বিবৃতিতে এই তথ্য জানান।
এদিন, বৈজ্ঞানিক জার্নাল আইসায়েন্স-এর অনলাইনে ভার্সনে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউনিভার্সিটি অফ ইয়ামানাশির অ্যাডভান্সড বায়োটেকনোলজি সেন্টারের অধ্যাপক তেরুহিকো ওয়াকায়ামা এবং জাপান অ্যারোস্পেস স্পেস এজেন্সির (জেএএক্সএ) একটি দল সহ গবেষকরা ২০২১ সালের আগস্টে রকেটে করে হিমায়িত ভ্রূণ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাঠিয়েছিলেন।
মহাকাশচারীরা এই উদ্দেশ্যে ডিজাইন করা একটি বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করে প্রাথমিক পর্যায়ের ভ্রূণগুলোকে গলিয়ে ফেলেন এবং চার দিন ধরে স্টেশনে বড় করেন।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ‘মাইক্রোগ্রাভিটি অবস্থার অধীনে ভ্রূণগুলো বিকশিত হয়।’ তারা আরও বলেছেন, ‘পরীক্ষাটি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করেছে যে মাধ্যাকর্ষণ এখানে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেনি।’
গবেষকরা জানান, পৃথিবীতে তাদের গবেষণাগারে এটি ফেরত পাঠানোর পরে তারা দেখেছেন ডিএনএ এবং জিনের অবস্থার কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি।
এই প্রথম গবেষণা যা দেখায়, তা হলো ‘স্তন্যপায়ী প্রাণীরা মহাকাশে বিকশিত হতে পারে। এই ধরনের গবেষণা ভবিষ্যতের মহাকাশ অনুসন্ধান এবং উপনিবেশ মিশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।’
/ঢাকা বিজনেস/এনই/