দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকদের সোমবার বিকেল ৩টার মধ্যে ফিরে আসার নির্দেশ দেয় উপজেলা প্রশাসন। এই নির্দেশনার কথা দ্বীপে মাইকিং করে অবহিত করা হয়েছে। তবে সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে ২৫০ পর্যটক আটকা পড়েছেন সেন্টমার্টিনে।
সেন্টমাটিনে জেটিঘাটের ইজারাদারের টোল আদায়কারী মো. জাহাঙ্গীর এমন তথ্য নিশ্চিত করেন।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল ৩ টায় সেন্টমার্টিনের জেটি ঘাট থেকে পর্যটকদের নিয়ে তিনটি জাহাজ টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। জাহাজ তিনটিতে পর্যটক সহ ২ হাজারের কাছা-কাছি যাত্রী রয়েছেন। তবে দ্বীপে এখনও আরও ২৫০ শতাধিক পর্যটক অবস্থান করছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘সোমবার বিকাল ৩ টায় পর্যটকদের নিয়ে ৩ টি জাহাজ টেকনাফের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। সন্ধ্যা ৬ টায় জাহাজ ৩ টি টেকনাফের দমদমিয়া জেটি ঘাটে পৌঁছে। টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে মাইকিং করা হয়েছে পর্যটকদের দ্বীপ ছাড়তে বলা হয়েছিল। কিন্তু এরপরও কিছু সংখ্যক পর্যটক সেন্টমার্টিন রয়ে গেছেন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে হয় তো দুই-তিন দিন জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে। দ্বীপে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে, সাগর কিছুটা উত্তাল ও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আদনান চৌধুরী বলেন, ‘দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বা সতর্ক সংকেত প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহি জাহাজসহ সকল প্রকার ট্রলার ও স্পীডবোট চলাচল বন্ধ থাকবে। তাই পর্যটকদের সেন্টমার্টিন থেকে সোমবার জাহাজ থেকে টেকনাফ ফিরতে বলা হয়েছিল।’
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫৫ কি:মি: পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬১৯ কি:মি: পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কি:মি: দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কি:মি: দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালণশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। আর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঢাকা বিজনেস/এমএ/