সরকার ১৫ কোটি ডিম আমদানির জন্য ১৫ প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে ৭ প্রতিষ্ঠান এলসি খুলেছে। আশা করা হচ্ছে, চলতি সপ্তাহে ডিম আমদানির প্রথম চালান দেশে আসবে।’ রোববার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমন্ডি লেক (ডিঙ্গি) সংলগ্ন ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে ফ্যামিলি কার্ডধারীর কাছে টিসিবির পণ্য সাশ্রয় মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমদানি ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। যার মধ্যে একটি হলো রপ্তানিকারক দেশের সরকার এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মুক্ত মর্মে সনদ দাখিল করতে হবে। দেশে এর আগে ডিম আমদানি না হওয়ায় এই সনদ পেতে আমদানিকারদের কিছুটা সময় লাগায় ডিম আসতে দেরি হচ্ছে।’
আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে কি না; এমন প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, ‘এখনো আলু আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেইনি। দেশে আলুর পর্যাপ্ত মজুদ আছে বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। বাজার মনিটরিং চলছে। যদি দাম আরও ঊর্ধ্বগতির দিকে যায় তাহলে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনে আলু আমদানির উদ্যোগ নেবে সরকার।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকার টিসিবি’র মাধ্যমে দেশের এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মাঝে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় করছে। তেল, চিনি, ডালের পাশাপাশি জুলাই থেকে চাল দেওয়া শুরু হয়। এ মাস থেকে পিঁয়াজ দেওয়া শুরু হলো; যা রাজধানীর মধ্যে আপাতত সীমাবদ্ধ থাকবে।’
টিপু মুনশি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা গরিব-দুঃখী ও অসহায় মানুষের কথা বিবেচনা করে ৫ কোটি মানুষকে কম মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আমরা জানি যে, বৈশ্বিক কারণে বেশ কয়েকটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে রাখতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। কিন্তু আমদানি পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে হয়। যার জন্য চাইলেও দাম কমানো সম্ভব হয় না। তবে আমরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করছি।’ সূত্র: বাসস
ঢাকা বিজনেস/এনই