খুলনার রূপসা উপজেলার জাবুসা বাজার-রূপসা ফেরিঘাট সড়ক (পূর্ব রূপসা বীরশ্রেষ্ঠ রূহুল আমিন সড়ক) থেকে খানজাহান আলী (র.) সেতু সংলগ্ন জেমিনি সি-ফুড পর্যন্ত সাড়ে ৩ কিলোমিটার সড়কের প্রায় ২ কিলোমিটারই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বালুবোঝাই ট্রাক, মাছ কোম্পানির গাড়ি, পাথর, কয়লাবোঝাই ভারী যানবাহনের চাপে অল্প সময়ের মধ্যেই এই সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী বলছেন, রাস্তা সংস্কার করতে হলে আগে বালুর ব্যবসা বন্ধ করতে হবে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে সড়কটি সংস্কার করা হয়। কিন্তু এ সড়ক দিয়ে বালু বোঝাই ট্রাক, মাছ কোম্পানির গাড়ি এবং পাথর, কয়লা বোঝাই যানবাহন চলাচল করে। ফলে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়া সড়কে গর্ত আর খানাখন্দের জন্য প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এ সড়কের পাশেই রয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ও বীর বিক্রম মহিবুল্লাহর সমাধি কমপ্লেক্স। সড়কের পাশে আছে চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতকরণের অন্তত ১৫টি কারখানা ও বরফকল, প্রাথমিক বিদ্যালয়, কোস্টগার্ড কার্যালয়, পুলিশ ক্যাম্পসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
ভ্যানচালক আসলাম আলি বলেন, ‘বালু ও মাছের ট্রাকসহ সবধরনের ভারী গাড়ি চলাচলের জন্য জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ কারণে আমরা যাত্রী নিয়ে ঠিকমতো যাতায়াত করতে পারি না। সড়কটি দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন। গাড়ি চালাতে গেলে মনে হয় এই বুঝি উল্টে পড়লাম।’
স্থানীয় বাসিন্দা জামেলা খাতুন বলেন, ‘রাস্তাটি এতটাই খারাপ যে একদিন যানবাহনে চলাচল করলে গায়ের ব্যথায় বিছনা থেকে উঠতে পারি না। বয়স হয়েছে হাঁটতে গেলে অনেক কষ্ট হয়। যানবাহনে চলাচল করবো তারও সুযোগ নেই।’
নৈহাটি ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বুলবুল বলেন, ‘সড়ক তৈরির ১ বছরের মাথায় ভেঙে গেছে। রাস্তার দুই পাশ দিয়ে অবৈধভাবে বালুর ব্যবসা করার কারণে এই অবস্থা। বর্তমানে রাস্তা নেই, মনে হয় বালুর মাঠ আছে এমন অবস্থা। বালুভর্তি ট্রাক, মাছ কোম্পানির গাড়িসহ পরিবহন চলাচলের কারণে অল্প দিনে রাস্তাটি নষ্ট হয়ে গেছে।’
এ বিষয়ে রূপসা উপজেলা প্রকৌশলী এস এম অহিদুজ্জামান বলেন, ‘বালু ব্যবসায়ীরা সড়কটি ধ্বংস করে ফেলেছে। এখন সংস্কার করতে হলে আগে বালুর ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। তারপর সড়কটি সেইভাবে তৈরি করতে হবে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
ঢাকা বিজনেস/এম