সরকার নির্ধারিত আলুর দাম ভোক্তা পর্যায়ে পেতে আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘বাজার ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। এটি আমরা জানি, আপনারাও জানেন। সেই বিশৃঙ্খলা দূর করার জন্য আজকে আমরা এখানে এসেছি । কোল্ড স্টোরে আলুর পাইকারি মূল্য ২৭ টাকা কেজি বিক্রি হলেই বাজারে ৩৫-৩৬ টাকা করে বিক্রি হবে। এর মধ্যে অন্য কোথাও সমস্যা হলে আমরা সেই জায়গায় হাত দেবো।’
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা এলাকায় আর এন্ড আর পটেটো স্টোরেজ নামের একটি হিমাগার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মহাপরিচালক।
পরিদর্শনের সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এই হিমাগারে আলু মজুদ এবং অতিরিক্ত মুনাফায় তা বিক্রির বেশ কিছু প্রমাণ পেলে রিপন, শাহ আলম এবং জাহিদ নামে তিন ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং জেলা প্রশাসন বগুড়ার অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় কোল্ড স্টোরেজ মালিক-ব্যবসায়ীদের সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রয়, সরকার নির্ধারিত আলুর মূল্য সম্বলিত ব্যানার টাঙানো, আলু ক্রয়-বিক্রয়ের পাকা রশিদ সংরক্ষণ এবং আলু কোথায় কার কাছে বিক্রি করা হচ্ছে তার তথ্য সংরক্ষণ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, সরকার দাম নির্ধারণ করার পরও বাজারে নির্ধারিত দামে আলু না মেলার কারণ অনুসন্ধানে জেলার আরও হিমাগার পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শফিকুজ্জামান।
বিকালে হিমাগার মালিক ও আলুর খুচরা-পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়।
সাব্বির/এইচ