১৬ জুন ২০২৪, রবিবার



খেলা দেখতে কেমন পর্দা-ডিভাইস উপযোগী

নুরজাহান নুর || ০৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৩:৪২ এএম
খেলা দেখতে কেমন পর্দা-ডিভাইস উপযোগী


বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। এই যুগে এসে গল্প শোনা বা বই পড়ে জানার চেয়ে মানুষ কোনো কিছু দেখতেই পছন্দ করেন বেশি। নাটক, সিনেমা বা খেলাধুলা এই ব্যাপারগুলো আমরা মনিটরে দেখতেই পছন্দ করি। 

বর্তমানে কিশোর-যুব বয়স ও বৃদ্ধ; সবার প্রথম পছন্দ মোবাইলফোন সেট। কিন্তু চোখের জন্য কতটুকু ভালো এই মোবাইলফোনের স্ক্রিন। চোখ আমাদের মানব শরীরের অতি সংবেদনশীল অঙ্গ। বিভিন্ন গবেষণা বলছে,স্মার্টফোনের নীল আলো বেশিক্ষণ চোখে পড়তে থাকলে চোখের ক্ষতি হয়।

অন্ধকারে মোবাইল ব্যবহার করলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। রাতে শুতে গিয়ে অন্ধকারে মোবাইলফোন দেখলে দীর্ঘ অনিদ্রা দেখা দেয়, যাকে ডাক্তারি ভাষায় ইনসোমনিয়া বলা হয়।  বড়দের মধ্যে এর ফলে অবসাদ দেখা দিতে পারে। রাতে ঘুম না হওয়ার জন্য চোখের চারপাশে কালো দাগ বা ছোপ পড়তে পারে।  একটানা  অনেকক্ষণ মোবাইলফোনে স্ক্রিনে তাকালে চোখে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। চোখ লাল হয়ে যায়। একইসঙ্গে জ্বালাও করে। অর্থাৎ, খেলা দেখার জন্য মোবাইলফোন ব্যবহার আমাদের চোখের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। 

এরপর রয়েছে ট্যাবলেট। যাকে আমরা সংক্ষেপে ট্যাব বলে থাকি। ট্যাব স্ক্রিনের আলো আমাদের চোখের জন্য ক্ষতিকর। যতদুর সম্ভব, এই ডিভাইস খুব কম ব্যবহার করতে হবে। বেশিক্ষণ ব্যবহারে ট্যাব স্ক্রিনের আলো চোখব্যথা, মাথাব্যথা, অনিদ্রা ইত্যাদি নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। 

এবার আসি ল্যাপটপের ক্ষতিকর দিক নিয়ে। ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ ব্যবহার করে কাজ করতে হয় আমাদের সবার। মোবাইলফোনের মতো ল্যাপটপ বা ডেক্সটপকেও এখন নিত্য ব্যবহার্য ডিভাইস বলা যায়। কিন্তু ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের আলোতে খেলা দেখতে গেলে এর পর্দায় যে রেজুলেশন থাকে, তা আমাদের খেলা দেখার পূর্ণ আনন্দ দিতে পারে না। পরন্তু অনেক কাছ থেকে দীর্ঘসময় পলকহীন তাকিয়ে থাকার কারণে চোখব্যথা করতে পারে। সঙ্গে মাথাব্যথাও। এই বিশ্বকাপে আমরা অনেকেই হয়তো ল্যাপটপে খেলা দেখছি।  অন্যান্য সময় নাটক, সিনেমা দেখি। ল্যাপটপ স্ক্রিন আমাদের চোখের খুব কাছে রেখে দেখতে হয়। দুই বা আড়াই ফুটের বেশি দূরত্ব থেকে ল্যাপটপ বা ডেক্সটপের স্ক্রিনে পরিষ্কার কিছু দেখা যায় না। তাই অনেক কাছ থেকে দেখতে গেলে চোখের নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। 

সাদাকালো টিভি বেশিরভাগ সময় ঝাপসা দেখায়। আর সাদাকালো টিভির রেজ্যুলেশন চোখের জন্য উপযোগীও নয়। 

এরপর প্রযুক্তির উন্নয়নে বাজারে এসেছে স্মার্ট টিভি। স্মার্ট টিভি একটা লিমিটেড ভার্সন। এই টিভিতে ইন্টারনেট ব্রাউজ করা যায়।

 সিয়ারটি-এলসিডি-এলইডি-স্মার্ট ও অ্যান্ড্রয়েড, এগুলো হচ্ছে টেলিভিশনের বিবর্তনের ধারা। আর এই বিবর্তনের পথে সবশেষে টেলিভিশনে যোগ হয়েছে  অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন। অ্যান্ড্রয়েড টিভিতে মোবাইলফোনের মতো যেকোনো অ্যাপ ডাউনলোড করা যায়। আপডেট করা যায়।

এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড টেলিভিশনে থাকে এইচডি রেজুলেশন, যা চোখের ক্ষতি করে না। আর বড় পর্দায় খেলা বা নাটক-সিনেমা দেখায় প্রায় মাঠে বা গ্যালারিতে বসে দেখার অনুভূতি দেয়। দূর থেকেও স্পষ্ট দেখা যায় স্ক্রিন। তাই এই বিশ্বকাপে নিজের চোখ ভালো রেখে খেলা উপভোগ করতে চাইলে অ্যান্ড্রয়েড টিভিই বেছে নিতে হবে। 

ঢাকা বিজনেস/এন/



আরো পড়ুন