শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অঘোষিত সেমিফাইনাল ম্যাচের মাঝখানে বৃষ্টি বাগড়া দেয়ার পর পর্যন্ত চাপে ছিল পাকিস্তান। বৃষ্টি থামলে রানের চাকা ঘুরিয়ে পাকিস্তানকে আড়াইশো ছাড়ানো সংগ্রহ এনে দিয়েছেন ফাইনালে যেতে হলে ৪২ ওভারে ২৫৩ রান করতে হবে শ্রীলঙ্কাকে।
এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠার লড়ায়ে বৃষ্টি বিড়ম্বনা ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে ২৫৩ রানের টার্গেট দিয়েছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) কলম্বো প্রেমদাস স্টেডিয়ামে টস জিতে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ইফতিখার আহমেদের ঝোড় ইনিংসে নির্ধারিত ৪২ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রানের সংগ্রহ পায় বাবর আজমের দল।
দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৯ রান তুলে পাকিস্তান। ব্যক্তিগত ৪ রানে প্রমোদ মদুশানের শিকার হয়ে ফিরে যান ফখর জামান। এরপর আবদুল্লাহ শফিক ও বাবর আজম মিলে দলের হাল ধরেন। বাবর আজম নিজেকে মেলে ধরবেন, এমন সময় তাকে বোকা বানিয়ে উইকেট তুলে নেন দুনিত ভেল্লালেগে। ৩৫ বলে ২৯ রান করেন পাকিস্তান অধিনায়ক।
এরইমধ্যে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন ওপেনার শফিক। অর্ধশতক করলেও এরপর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ৫২ রানে মাথিশা পাথিরানার ওভারে ধরা পড়েন মদুশানের হাতে। তার ৬৯ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি চার ২টি ছয়ের মার। কিছুক্ষণ পর ফিরে যান মোহাম্মদ হারিসও। তার উইকেটও নেন পাথিরানা।
বৃষ্টির নামার ঠিক আগে আউট হন মোহাম্মদ নেওয়াজ। ১২ বলে ১২ রান করেন তিনি। ২৭.৪ ওভারে ১৩০ রান করার পর বৃষ্টি নামে। কিছুক্ষণ পর আবার খেলা শুরু হলেও ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে ৪২ ওভারে নেমে আসে। তখন ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ফের ব্যাট করতে নেমে ঝড় তোলেন তিনি, রিজওয়ান তুলে নেন হাফসেঞ্চুরিও।
ইফতিখার আহমেদকে নিয়ে রানের চাকা ঘুরাতে থাকেন রিজওয়ান। দুজনই ডট বল খেলার হার কমিয়ে স্কোরবোর্ডে দ্রুত রান যোগ করেন। জুটি গড়ে তোলেন ১০৮ রান। ইফতিখার শেষ পর্যন্ত ৪০ বলে ৪৭ রান করে পাথিরানার ওভারে আউট হন। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা রিজওয়ান ৭৩ বলে করেন ৮৬ রান করেন।
ঢাকা বিজনেস/এমএ/