০২ জুন ২০২৪, রবিবার



স্যালাইনের দাম বেশি রাখলেই ফার্মেসি বন্ধ: ভোক্তা ডিজি

স্টাফ রিপোর্টার || ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০২:০৯ পিএম
স্যালাইনের দাম বেশি রাখলেই ফার্মেসি বন্ধ: ভোক্তা ডিজি


সারাদেশে স্যালাইনের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ায় কাল (বৃহস্পতিবার) থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘অবৈধভাবে যারা মজুত করে বাজারের ফার্মেসিগুলোতে সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো রকম অনিয়ম ও স্যালাইনের দাম বেশি রাখলেই ফার্মেসি বন্ধ করে দেওয়া হবে। লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হবে।’

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কাওরানবাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কার্যালয়ে স্যালাইনের মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, পাইকারি, খুচরা বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মহাপরিচালক বলেন, ‘ফার্মেসিগুলোতে ৮৭ টাকার স্যালাইন ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকা রাখার প্রমাণ পেয়েছেন আমাদের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা। সারাদেশ থেকেই আমাদের কাছে প্রতিনিয়ত অভিযোগ আসছে এমন অনিয়মের। এগুলো মেনে নেওয়া হবে না। কাল থেকেই অভিযান।’ 

 এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘ফার্মেসিগুলোতে স্যালাইন নিয়ে কোনো অনিয়ম পেলেই বন্ধ করে দেওয়া হবে দোকান। স্যালাইনের গায়ে থাকা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের চেয়ে এক টাকাও বেশি বিক্রি করা যাবে না। আমি স্পষ্টভাবে এটি সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দিতে চাই। এরপরও যদি কেউ বেশি দামে স্যালাইন বিক্রি করেন, তাহলে আমরা আমাদের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।’

সভায় স্যালাইনের মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, পাইকারি, খুচরা বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন। তাদের উদ্দেশ্যে ভোক্তার ডিজি বলেন, ‘আপনাদের কথা শুনবো, তবে কৃত্রিম সংকটের কথা বলে বাড়তি দাম নেওয়া যাবে না।’

ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোই স্যালাইনের সোর্স উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘স্যালাইন তো আর ভ্যানে বিক্রি হয় না। ডিস্ট্রিবিউশন চেইনের মাধ্যমে ফার্মেসিতে বিক্রি হয়। তাহলে এটি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত। এটা কিন্তু ডাব বা কাঁচা মরিচ না। সেক্ষেত্রে এমআরপি লেখা আছে ৮৭ বা ৮৮ টাকা। যতক্ষণ মজুত আছে, ততক্ষণ সেই দামেই বিক্রি করতে হবে। ফার্মেসিতে একটিও স্যালাইন থাকলে ভোক্তাদের ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না।’

ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক বলেন, ‘আইন অনুযায়ী ভোক্তা যদি প্রতারিত হয় বা অতিরিক্ত মুনাফা যদি তার কাছ থেকে আদায় করা হয়, তাহলে অভিযুক্তরা যারাই হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আমাদের দায়িত্ব।’

ঢাকা বিজনেস/মাহি/এন



আরো পড়ুন