২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার



‘স্মার্ট বাংলাদেশ’র স্বপ্ন মাথায় রেখে ঢাকা উত্তরের বাজেট ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার || ২৪ জুলাই, ২০২৩, ০৪:৩৭ পিএম
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’র স্বপ্ন মাথায় রেখে ঢাকা উত্তরের বাজেট ঘোষণা


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন মাথায় রেখে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অনুসরণ করে ডিএনসিসি’র এবারের বাজেট দেওয়া হয়েছে।’

সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে ডিএনসিসি নগরভবনের হল রুমে এ বাজেট ঘোষণা করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

মেয়র বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য ৫ হাজার ২৬৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।ডিএনসিসির এই অর্থবছরে আয় হিসাবে রাজস্ব খাত থেকে ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৩০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, অন্যান্য খাতে ১৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, সরকারি অনুদান (উন্নয়ন সহায়তা) ৫৪ কোটি ১২ লাখ। এ ছাড়া, সাহায্য মঞ্জুরি ৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, পাশাপাশি সরকারি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পে ধরা হয়েছে ২ হাজার ৩৮৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।’

এদিকে, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বাজেটে রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৫৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা, অন্যান্য ব্যয় ১৪ কোটি ৫০ লাখ, উন্নয়ন ব্যয় (নিজস্ব উৎস) ১ হাজার ৫১৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা, উন্নয়ন ব্যয় (সরকারি উন্নয়ন সহায়তা) ৫৪ কোটি ১২ লাখ টাকা, উন্নয়ন ব্যয় (সরকারি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প) ২ হাজার ৩৮৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এ ছাড়া সমাপনী স্থিতি ধরা হয়েছে ৪৪১ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে এবার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশে ডিএনসিসিকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা বদ্ধপরিকর।’

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‌‘২০২২-২৩ অর্থবছরে ডিএনসিসি’র রাজস্ব অর্জন হয়েছে ১ হাজার ৬২ কোটি ৩৫ লাখ ৬২ হাজার ১০৩ টাকা। এটি উত্তর সিটি করপোরেশনের সক্ষমতার প্রমাণ। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে মোট রাজস্ব আয় ১৮৩০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ধরা হয়েছে, যা গত অর্থবছরের চেয়ে ১৮৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বেশি। আশা করছি এ বছরে হোল্ডিং ট্যাক্স, বাজারের সালামি, ট্রেড লাইসেন্স ফি, সম্পত্তি হস্তান্তর ও সড়ক খনন ফি বাবদ আয় বৃদ্ধি পাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স ফি সংগ্রহের ফলে ইতোমধ্যে রাজস্ব উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ও পাবলিক সার্ভিস নিশ্চিত করতে অনলাইনে সেবার পরিসর বৃদ্ধি করা হচ্ছে। রাজস্ব বাড়াতে আরও কিছু পরিকল্পনা নিয়েছি। স্মার্ট পার্কিং ও রিকশায় কিউআর কোড সম্বলিত নম্বর প্লেট সরবরাহের মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়াও, কোরবানির পশুর হাটের ইজারা বাবদ বিগত সময়ের চেয়ে বেশি রাজস্ব আয় হবে।’

ঢাকা বিজনেস/এম



আরো পড়ুন