দিনাজপুরের হিলিতে দিন দিন বাড়ছে গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিস (এলএসডি) রোগের প্রাদুর্ভাব। ইতোমধ্যে উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে এই রোগ। প্রতিদিনই ৮ থেকে ১০ টি ভাইরাস আক্রান্ত গরু প্রাণিসম্পদ অফিসে আসছেন মলিকেরা। গেলো দুই সপ্তাহে ৩০০ গরু লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ৪ টি গরু।
রোববার ( ১৬ জুলাই) ভাইরাসে আক্রান্ত গরুর মালিক ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এতথ্য পাওয়া গেছে।
মোল্লাবাজার এলাকার মো. সেকেন্দার আলী বলেন, ‘আমার বাড়িতে গাভিসহ ৪ টি গরু আছে। ১০ দিন আগে হঠাৎ একটি গরুর জ্বর আসে। প্রথমে প্রাণিসম্পদ অফিসের চিকিৎসকের পরামর্শে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খাওয়ার পর জ্বর কিছুটা কমে যায়। কিন্তু গরুর শরীরের বিভিন্ন জায়গা ফুলে যায়। আবারও প্রাণিসম্পদ অফিসে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বলেন, গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজি ( এলএসডি) রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত গরুটিকে মশারি টাঙিয়ে আলাদা করে রাখতে বলেন। এছাড়া প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন। কিন্তু ৩ দিন পর আক্রান্ত গরুটি মারা যায়।’
দক্ষিণবাসুদেবপুর গ্রামের মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি আমি নতুন গরুর খামার করি। আমার খামারে ১০ টি গরু আছে। গত সপ্তাহের রোববার ( ৯ জুলাাই) একটি গরুর জ্বর আসে। আমি সঙ্গে সঙ্গে প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়ার পাশাপশি আক্রান্ত গরুটিতে আলাদা রাখতে বলা হয়। আমার আক্রান্ত গরুটি এখন সুস্থ্য আছে।’
হাকিমপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. কাজী মাহাবুবুর রহমান ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজি ( এলএসডি) রোগে গতকাল শনিবার ( ১৫ জুলাই) পর্যন্ত ৩০০ গরু আক্রান্ত হওয়ার রেকর্ড আমাদের কাছে আছে। আর গত দুই সপ্তাহে মারা গেছে ৪ টি গরু।’
মাহাবুবুর রহমান আরও বলেন, ‘গরুর মালিকদের সচেতন করতে প্রাণিসম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে উঠান বৈঠকসহ লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ২০০০ গরুকে টিকা দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার থেকে মাংকিং করে গরুর মালিকদের সচেতন করা হবে।
ঢাকা বিজনেস/এমএ/