তথ্য-প্রযুক্তির কল্যাণে সম্প্রতি একটা কেমিক্যাল কিছু অসৎ মানুষের হাতে পড়েছে। এটি সাধারণত সাড়ে তিন ফুট দূর থেকেও বাতাসের মাধ্যমে একজন মানুষকে কাবু করে ফেলতে পারে। এই কেমিক্যাল মানুষের ন্যাসাল রুটের মাধ্যমে যখন ভেতরে প্রবেশ করে, তখন মানুষের মস্তিষ্কের প্রাইমারি ইনিশিয়াল স্টেজ অক থিংকিং সহজ বাংলায় বললে মানুষের চিন্তা করার ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। যে কারণে মানুষ তাৎক্ষণিকভাবে সামনে থাকা মানুষের নাচের পুতুলে পরিণত হয়। তখন আপনাকে ওই লোক যা নির্দেশ দেবে, আক্রান্ত ব্যক্তি তা-ই পালন করবেন। এ ধরনের বিপত্তি থেকে বাঁচতে আমি এখানে কিছু টিপস দেওয়া হলো:
১. অপরিচিত কারও কাছ থেকে কোনো কিছু খাবেন না, সে যত ভালোই মনে হোক না কেন।
২. সব সময় মাস্ক পরবেন।
৩. আপনার মুখের সামনে অপরিচিত কোনো লোকের হাত আনতে দেবেন না হাতটা আপাত দৃষ্টিতে খালি মনে হলেও।
৪. যেন তেন লোকের কাছ থেকে মাস্ক কিনবেন না।
৫. একা যাত্রী হয়ে কোনেরা গাড়িতে উঠবেন না।
৬. সিটে অথবা সিটের আশেপাশে পড়ে থাকা পানি কখনোই চোখে মুখে দেবেন না।
৭. অপরিচিত কোনো লোক আপনার এড্রেস জানার জন্য কোনো কাগজ হাতে দিতে চাইলে সেটা ধরবেন না।
৮. কোনো কাগজ ঠিকানা দেখার বাহানা করে আপনার চোখের সামনে আনতে দেবেন না।
৯. গাড়ির ভেতরে কেউ আপনাকে মুখ দিয়ে বাতাস করার সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে উঠবেন। আশেপাশে থাকা সবাইকে অবহিত করবেন যে, আপনি যদি অজ্ঞান হয়ে যান, তার জন্য পাশে বসা লোকটিই দায়ী।
১০. দেখতে একেবারে ফেরেশতার মতো মনে হলেও অপরিচিত কোনো লোক ইফতারের সময় ইফতার অথবা খেজুর দিলে খাবেন না। অনেক সময় মানুষকে বিশ্বাস করানোর জন্য ছোলা এবং মুড়ির ভেতরে কোনো কিছু তারা দেয় না। সেটা আগে নিজেরা খেয়ে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে। এরপর ওই খাবারের মাঝখান দিয়ে হয়তো খেজুর অথবা পানির ভেতরে কিছু দিয়ে দিতে পারে।
১১. গাড়ির ভেতরে কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব করবেন না। মনে রাখবেন গাড়ি থেকে নেমে গেলেই আপনাদের বন্ধুত্ব শেষ হয়ে যাবে। তার চাইতে ভালো, গাড়ির ভেতরে বন্ধুত্ব নাই হোক।
১২. মাস্ক বিষয়ে সতর্ক হবেন।
১৩. আমার মোবাইলে ঘড়ির টাইমটা একটু ঠিক করে দেন, এ কথা বলে হাতে কোনো মোবাইলফোন দিতে চাইলে সেটা নেবেন না। কারণ ওই কেমিক্যাল আপনার হাতে লাগলে আপনি মনের অজান্তেই কখনো মুখের কাছে নেবেন, এটাই স্বাভাবিক। আর এর জন্যই ফাঁদ পেতে অপেক্ষা করবে ওই লোক।