টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানি বাড়ায় সুনামগঞ্জ জেলার সঙ্গে তাহিরপুর উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া জেলার তাহিরপুর ও দোয়ারা বাজার উপজেলার নদ-নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চলে প্লাবিত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার তাহিরপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়ায় নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। গ্রামীণ সড়কগুলো তলিয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে এসব এলাকার বাসিন্দারা নৌকা দিয়ে জেলা ও উপজেলায় জরুরি কাজ, চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হাট-বাজারে যাচ্ছেন।
পানিতে ডুবে আছে তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়ক ও তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের কৈয়ারকান্দা (১০০ মিটার) সড়ক। তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়কের দূর্ঘাপুর, ১০০ মিটার (কৈয়ারকান্দা) ও আনোয়ারপুর সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়াও, যাদুকাটা, বোলাই ও পাঠলাই নদীর পানি বেড়েছে। পানিতে ডুবেছে নিম্নাঞ্চলের সড়কসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এদিকে, পাহাড়ি ঢলের পানি বাড়ায় আমবাড়ি, আনন্দনগর, লতিফপুর, নিশ্চিতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এ ছাড়াও, বিন্নারবন, শান্তিপুর, পুরানঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১০-১৫টি বিদ্যালয়ের যাতায়াতের পথ ডুবে যাওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি একেবারেই কম।
তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আহমদ মোরাদ বলেন, ‘গত তিন দিনে টানা বৃষ্টি ও নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি আরও বাড়ায় বাড়ি-ঘরের কাছাকাছি চলে এসেছে। আর আমার ইউনিয়ন হাওরবেষ্টিত। প্রতিটি গ্রামের চারপাশেই এখন পানি থৈ থৈ করছে।’
তাহিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আবুল খায়ের বলেন, ‘উপজেলার কয়েকটি বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। কিছু কিছু স্কুলে পানি কাছাকাছি থাকায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম, তবে পাঠদান চলছে।’
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা বলেন, ‘গত দু’দিন বৃষ্টি ও ঢলের পানি কিছুটা বেড়েছে। তবে, বন্যার আশঙ্কা নেই। তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়কে সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।’
ঢাকা বিজনেস/এইচ