২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



অর্থনীতি
প্রিন্ট

বিজয়নগরে লটকনের বাম্পার ফলন, আসবে ৮০ লাখ টাকা

আজহার উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া || ০৮ জুলাই, ২০২৩, ১০:০৭ পিএম
বিজয়নগরে লটকনের বাম্পার ফলন, আসবে ৮০ লাখ টাকা


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় এই বছর লটকনের বাম্পার ফলন হয়েছে। চাষিরা বলছেন, গেলো দুই বছর  লটকনের উৎপাদন করলেও এবারই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে লকটন বিক্রিও শুরু হয়েছে। আকার অনুযায়ী বাজারের খুচরা বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১৫০ টাকা দরে। 

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, চলতি বছর প্রায় ৮০ লাখ টাকার লটকন বিক্রি করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় লটকনের চাষ নিয়ে চাষিদের মধ্যেও আগ্রহ বেড়েছে।

সূত্রটি আরও জানায়, উপজেলার প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে লটকন চাষ করা হয়েছে। চম্পকনগর, মেরাশানি, সিঙ্গারবিল ও পাহাড়পুর ইউনিয়নে রয়েছে লটকনের বাগান। ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা উপজেলা বিজয়নগরের টিলা ভূমির লাল মাটি লটকন চাষের জন্য খুবই উপযোগী। 

চাষিরা জানান, বিজয়নগরের লটকন রসালো, টক ও মিষ্টি। তাই বাজারে বিজয়নগরের লটকনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা বাগানে এসে লটকন কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। 

এ ব্যাপারে মেরাশানী গ্রামের লটকন চাষি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত ৭/৮ বছর আগে ময়মনসিংহ থেকে ১০০ লটকনের চারা এনে বাগান করি। প্রথমে যখন লকটকের বাগান করি, তখন এলাকার অনেকেই পণ্ডশ্রম মনে করেছেন। গত ২ বছর ধরে কিছু কিছু গাছে লটকন ধরা শুরু করে। এবছর প্রতিটি গাছেই লটকন ধরেছে।’

লক্ষাধিক টাকার লটকন বিক্রির আশা প্রকাশ করে  আনোয়োর হোসেন বলেন, ‘কৃষি অফিসের লোকজন সব সময় আমাকে পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে বাণিজ্যিকভাবে আমি আরও বেশি পরিমাণে লটকন চাষ করবো।’

উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের লটকন চাষি বাবুল বলেন, ‘এ বছর লটকনের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিদিন দূর-দুরান্ত থেকে পাইকারা এসে বাগান থেকেই লটকন কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আশা করছি এই বছর ২ লাখ টাকার লটকন বিক্রি করতে পারবো।’

বিজয়নগর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. শাব্বির আহমেদ বলেন, বিজয়নগরের মাটি লটকন চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এই বছর বাণিজ্যিকভাবে উপজেলায় লকটন চাষ করা হয়েছে। উপজেলার ২০/২৫ জন চাষি ১৫ হেক্টর জমিতে লটকনের বাগান করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে বাগান মালিকদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এইচ. ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সরকারিভাবে লটকন চাষিদের সারসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ দেওয়া হয়েছে। চাষিদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মুন্সী তোফায়েল হোসেন বলেন, ‘চলতি বছর বিজয়নগর উপজেলায় ১৫ হেক্টর জমিতে লটকনের চাষ করা হয়েছে। বাম্পার ফলন ও হয়েছে। ইতোমধ্যেই লকটন বিক্রিও শুরু হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আশা করি , চলতি বছর বিজয়নগরে প্রায় ৮০ লাখ টাকার লটকন বিক্রি করা হবে। ফলন ভালো হওয়ায় চাষিদের মধ্যেও আগ্রহ বাড়ছে।’

ঢাকা বিজনেস/এমএ/এনই




আরো পড়ুন