রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহ চলাকালে রুশ নাগরিকরা ‘একে-অপরকে হত্যা করুক’ এমনটা চাওয়ায় ইউক্রেন এবং তাদের পশ্চিমা মিত্রদের অভিযুক্ত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৬ জুন) দ্য গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিদ্রোহীরা পিছু হটার পর জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া প্রথম ভাষণে পুতিন জানান, তিনি দেশে রক্তপাত এড়াতে আদেশ জারি এবং ওয়াগনার যোদ্ধাদের সাধারণ ক্ষমা মঞ্জুর করেছেন। ওয়াগনার যোদ্ধাদের বিদ্রোহ তার দুই দশকের শাসনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
পুতিন টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে রাশিয়ার নাগরিকদের ‘দেশপ্রেমের’ জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘ঘটনার শুরু থেকেই বড় ধরনের রক্তপাত এড়াতে আমার নির্দেশে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।’
পুতিন বলেন, ‘এটা ঠিক যে রাশিয়ার শত্রুরা ভ্রাতৃহত্যা দেখতে চেয়েছিল। কিয়েভের নব্য-নাৎসি ও তাদের পশ্চিমা পৃষ্ঠপোষক এবং দেশের বিশ্বাসঘাতকরা চেয়েছিল রুশ সৈন্যরা একে-অপরকে হত্যা করুক।’
পুতিন এক বৈঠকে সশস্ত্র বিদ্রোহ চলাকালে তার দেশের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কাজের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানান। আর ওয়াগনার গ্রুপের এই বিদ্রোহের প্রধান লক্ষ্য ছিল প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু।
পুতিন বলেন, ‘এখন ওয়াগনার যোদ্ধারা রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বা বেলারুশে চলে যেতে বা এমনকি তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারেন।’
ঢাকা বিজনেস/এইচ